পড়ন্ত বিকেল, জানালার বাইরে চোখ, দূরে মুক্ত আকাশে পাখিদের সমাবেশ, চার দেয়ালের মাঝে কংক্রিটের খাঁচায় বড় বেশি অসহায় মনে হয় নিজেকে। মাঝে মাঝে কী যেন হয়, যান্ত্রিক জীবনের সব একঘেঁয়েমিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মুক্ত নিঃশ্বাসের খোঁজে বেরিয়ে পড়ি নগরের ব্যস্ত রাস্তায়, ইচ্ছে করে পাখির মতো ডানা মেলে উড়ে চলে যাই দূর আকাশে। কিন্তু পরক্ষণেই নিষ্ঠুর বাস্তবতা আবার ফিরিয়ে আনে মাটিতে। চোখে পড়ে চারপাশের সব অসংগতি। কল্পনার স্বপ্নপুরীটাকে তখন হঠাৎ অনেক দূরের মনে হয়। নিজের অজান্তেই মুষ্ঠিবদ্ধ হয়ে ওঠে হাতের আঙুল। অতঃপর খাতা কলম নিয়ে বসি, জমাট বাঁধা অগ্নিপিণ্ডটাকে আশ্রয় দেই সেখানে। জীবন তো ছকে বাঁধা, কিন্তু অগ্নিপিণ্ড তো নয়। বিদ্রোহের প্রথম মশালটা জ্বালিয়ে দিলাম আমি, একদিন সে নিজেই ছড়িয়ে পড়বে দাবানলের মতো।