সারসংক্ষেপ পৃথিবীর দুর্গম থেকে দুর্গমতর এলাকায় মানুষের পদচারণা বিস্তৃত হচ্ছে। দখল হয়ে যাচ্ছে পাহাড়-পর্বত, বন-জঙ্গল, সমুদ্র, অন্তরীক্ষ-সংকুচিত হয়ে আসছে প্রকৃতির অন্য সব প্রাণীর আবাস। মানব সভ্যতার বিস্তারে রক্ষা পাচ্ছে না ড্রাগনের মতো অতিকায় নিরূপদ্রব প্রাণীও। স্কটিশ উপত্যাকার ড্রাগনদের কাছেও পৌঁছলে দুঃসংবাদ-মানুষ দখল করতে আসছে তাদের বাসস্থান।
জানা গেল, ড্রাগনদের একমাত্র নিরাপদ এবং নির্বিঘ্ন আবাস-রিম অব হ্যাভেন। রহস্যময় সেই জায়গায় , যার সন্ধান কেউ জানে না। রিম অব হ্যাভেনের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ল সাহসী ড্রাগন ফায়ারড্রেক। ব্রাইুনি সোরেল হলো তার সঙ্গী।যাত্রা পথে তাদের অভিযানে শামিল হলো এক মানুষ বালক-বেন।
অন্যদিকে, প্রথিবী থেকে ড্রাগন নির্মূল করার উদগ্র লালসায় দেশ শতাধিক বছর ধরে অপেক্ষায় আছে প্রচণ্ড শক্তিধর হিংস্র এক দানব নাট্যলব্রান্ড- দ্য গোল্ডেন ওয়ান। ড্রাগনের সন্ধানে পৃথিবীর কোণায় কোণায় উড়ছে তার গুপ্তচর। ফায়ারড্রেকের খবর পেল নাট্যব্রান্ড। ওদের পিছনে গুপ্তচর লেলিয়ে দিল দানব। শুধু ফায়ারড্রেক নয়, রিম অব হ্যাভেনে লুকিয়ে থাকা ড্রাগনদেরও সন্ধান পেতে চায় ন্যাটলব্রান্ড। অভিযাত্রীরাও টের পেল ওদের পিছু নিয়েছে দ্য গোল্ডেন ওয়ান। উভয় সঙ্কটে পড়ল ফায়ারড্রেক। রিম অব হ্যাভেন যাওয়াও বিপদ আবার নিজের পুরনো আবাসেও ফিরে যাওয়া বিপদ। কী করবে ড্রাগন ফায়ারড্রেক? দানবটার সাথে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিল ও । কারণ ওর সাথে আছে ড্রাগন রাইডার বেন, আছে ন্যাটলব্যান্ডের ভৃত্যু ম্যানিকিন টুইগলেগ, বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্রাউনি সোরেল, ইঁদুর লোলা আর আছে অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা এবং আশীর্বাদ। ফায়ারড্রেক কি জিতবে? পারবে দানব ন্যাটলব্র্যান্ডকে পরাস্ত করতে? পারবে ড্রাগনদের জন্য নিরাপদ বাসস্থান খুঁজে বের করতে?