দুলুর মুখ থেকে লালা পড়ছে। শেষমেশ জীবন দিয়ে সে গাছের ঋণ শোধ করলো। তার হাত-পা ঠান্ডা হতে লাগলো। বুকের কাছে মাংপিন্ড দেখা যাচ্ছে। গড়গড় করে টকটকে লাল রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। তার ফর্সা হাতে-পায়ে-বুকে রক্ত ছড়িয়ে গিয়েছে। চোখ-মুখ লাল হয়ে গিয়েছে। মুখের উপর রক্তের কয়েক বিন্দু ছিটকে পড়েছে। মনে হচ্ছে একদম সেই প্রথম সকালের কথা, যেদিন দুলু তার ফর্সা হাতে টুকটুকে লাল ফুলগুলো কুড়িয়ে নিচ্ছিল আজও ঠিক তেমনই মনে হচ্ছে। রক্তফোটা যেন তার বুকের উপর থোকা থোকা কৃষ্ণচূড়া।
মিন্টু মিয়াকে কে যেন খবর দিতেই সে ছুটে এসেছিল। কে জানতো এই বাচ্চাটার ভবিষ্যৎ একটা গাছের সাথে শেষ হবে। মিন্টু মিয়া দূর থেকে কাদঁতে লাগলো। তার মনে হতে লাগলো দুলুকে ধরে চিৎকার করে কাদঁতে। তিনি মাটিতে বসে পড়লেন। দুলু মুখটা বড় হা করে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।