রাজনৈতিক অভিলাষ, ষড়যন্ত্র আর রক্তপাতের সত্য ঘটনা নিয়ে উপন্যাস লেখার বিপদ আছে। এ চ্যালেঞ্জটিই গ্রহণ করেছেন কথাসাহিত্যিক মশিউল আলম। প্রেসিডেন্ট জিয়া হত্যাকান্ড, এবং তাঁর অব্যবহিত পর মুক্তিযোদ্ধা জেনারেল মঞ্জুর হত্যাকান্ড নিয়ে চালু আছে নানা কথা। প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন ঐতিহাসিকের দায় , উপন্যাস রচয়িতার নয়। তবু সে পথেই কাহিনিকার হেঁটেছেন । ‘দ্বিতীয় খুনের কাহিনি’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ ৩০ মে ১৯৮১, ভোররাত। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। ঘটনাটি ঘটালেন চট্টগ্রাম সেনানিবাসের কয়েকজন কর্মকর্তা। চট্টগ্রামের জিওসি মেজর জেনারেল আবুল মনজুরই কি পেছন থেকে এ হত্যাকাণ্ডের কলকাঠি নেড়েছেন? ঘটনা গড়াতে লাগল অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে। ১ জুন ১৯৮১। হত্যাকারী অফিসারদের সঙ্গে সপরিবারে পালাচ্ছেন জেনারেল মনজুর। কিন্তু বিকেলের মধ্যেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হলেন। আদালতের মুখোমুখি হতে চাইলেন আটক মনজুর। কিন্তু সন্ধ্যার মধ্যেই থানা থেকে তাঁকে নেওয়া হলো সেনা হেফাজতে। মধ্যরাতে, চট্টগ্রাম সেনানিবাসে, একটি বুলেটের আঘাতে প্রাণ হারালেন তিনি। এক হত্যাকাণ্ডের পেছনে যেন নিয়তির মতো ছুটে এল আরেকটি হত্যাকাণ্ড। এক ঢিলে দুই পাখি শিকারের গল্প নয় তো এটি? প্রেসিডেন্ট জিয়া ও জেনারেল মনজুর হত্যাকাণ্ডের ছায়াচ্ছন্ন ঘটনা নিয়ে গড়ে উঠেছে দ্বিতীয় খুনের কাহিনি। অনুসন্ধান ও গবেষণায় রুদ্ধশ্বাস এ সত্য কাহিনি তুলে আনা হয়েছে ইতিহাসের অন্ধকার থেকে। এ কাহিনি গোয়েন্দা গল্পকেও হার মানায়।