"গঙ্গার পাড়ে, বোটানিকাল গার্ডেনের পাশে সেই ক্যাম্পাসে মাঠের নাম লর্ডস ও ওভাল, পুকুরের নাম বিদিশার ঝিল। ক্যাম্পাসের ঠিক মাঝখানে কবরখানা, একদিকে মুচিপাড়া, অন্যদিকে সায়েবপাড়ার মাঝখানে 'রহস্যময় মেয়েদের হল'। এখানে আছে 'লাভার্স লেন', যেখানে চাঁদের আলোয় হাত ধরাধরি করে প্রেমিক-প্রেমিকারা হাঁটে। "সৈকত ভাল লেখেন, কী খারাপ লেখেন, তা আমার ভাবার এক্তিয়ারে পড়েনা। এ তো আর 'চুপ, আদালত জারি আছে'র মতো ব্যাপার নয়। এখানে গণেশ পাইনের 'আততায়ী'র মুখ আলো-অন্ধকার ফাঁসিয়ে মাঝে মাঝে জেগে ওঠে। পিটার স্যাফারের নাটকে সতেরো বছরের অ্যালান কেন পাঁচটি ঘোড়াকে অন্ধ করে দিয়েছিল? ড. ডিমার্ট কোনোদিন কি তা জানতে পারবে? আমরা জানতে পারব? 'দিনগুলি রাতগুলি' চোরাস্রোতে আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। কোথায়? সেই হদিশ জানা থাকলে এ লেখা তো আর উপন্যাস হতনা। মিথ্যার চেয়েও সত্যের বড় বিপজ্জনক শত্রু আত্মবিশ্বাস। সৈকতের উপন্যাস এই আত্মবিশ্বাসের প্রতিস্পর্ধী সত্যের হিরণ্ময় মুখ।" -- এই বইয়ের ভূমিকায় লিখেছিলেন, রবিশঙ্কর বল।