দিগ্বিজয়ী তৈমুর
বইবাজার মূল্য : ৳ ২৪০ (২০% ছাড়ে)
মুদ্রিত মূল্য : ৳ ৩০০
প্রকাশনী : বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র
বিষয় : ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব
পৃথিবীর ইতিহাসে রাজ্য জয়ের কথা উঠলে কয়েকজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করতেই হয়। তাদের মধ্যে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট, তৈমুর লং, কুবলা খান, জুলিয়াস সিজার, চেঙ্গিস খান প্রমূখ। এদের মধ্যে একমাত্র তৈমুর লং সাধারণ পরিবার থেকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়েছিল। তৈমুর লং এর পুরো নাম তৈমুর বেগ। তৈমুর শব্দের অর্থ হচ্ছে লোহা এবং লং শব্দের অর্থ হচ্ছে লেংড়া বা খোঁড়া । ল্যাংড়া ছিল বলে তাকে লং বলে ডাকা হয়। চেঙ্গিস খানের দৌহিত্র ছিল তৈমুর লং। এই বইয়ের কয়েকটি লাইন আমার কাছে খুব সমর্থিত মনে হয়েছে। লাইনগুলি হচ্ছে "বিজয়ী তিনিই, যিনি রাজা ভিখারিনী_ নির্বিশেষে সবাইকে দয়া করতে পারেন। যারা দোষী তাদের ক্ষমা করতে যার বাধে না কারণ যখন কোনো শত্রু ক্ষমা ভিক্ষা করে, তখন আর সে শত্রু থাকে না। বিজয়ী যখন দান করেন, তখন ফিরে পাবার প্রত্যাশা নিয়ে তিনি তা কখনো করেন না! তিনি কখনো কোনো এক ব্যক্তির বন্ধুত্বের উপর ক্রোধ মনে জমিয়ে রাখেন না। কারণ এই সবের বহু উর্ধ্বে তিনি অবস্থান করেন এবং শক্তি একমাত্র তাঁরই করায়ত্ত । এই বইটি মূলত তৈমুর লং এর জীবনী নিয়ে লেখা। সেখানে একটি ঘটনা আমাকে খুব আকৃষ্ট করেছে সেটি তার পুত্র মিরন সাহেবের কুকীর্তির কথা জানতে পেরে তাকে মৃত্যুদন্ডে দণ্ডিত করে যদিও পরবর্তীতে সবার অনুরোধে তাকে সেই প্রদেশের একজন সাধারণ বাসিন্দা হিসেবে বসবাস করতে সুযোগ দেয়। সে তার নীতিতে অটল থাকতো। সে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যুদ্ধে পরাজিত হয়নি। সে অত্যন্ত চালাক ছিল। তাই সবাইকে একত্রে থাকতে বলেন। যদিও তার পুত্র তার সে কথা মানেনি। তাই তারা তার রাজ্য ধরে রাখতে পারেনি। বইটির ভাষা খুব কঠিন বলে আমার মনে হয়েছে। স্থানগুলোর নাম অজানা হওয়ায় মনে রাখা কঠিন হয়েছে। বইয়ের নামঃ দিগ্বিজয়ী তৈমুর লেখক-হ্যারল্ড ল্যাম্ব অনুবাদ- আবুল কালাম শামসুদ্দীন প্রকাশক-মোঃ আলাউদ্দিন সরকার ৩য় সংস্করণ - অক্টোবর , ২০১১ প্রকাশনী-বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র প্রচ্ছদ-ধ্রুব এষ মূল্য-২০০.০০ টাকা