ধূলিমলিন উপহার : রামাদান (পেপারব্যাক)
ধূলিমলিন উপহার: রামাদান। ।। কথা ছিলো উৎসাহ আর প্রস্তুতি নিয়ে মুসলিমরা উন্মুখ হয়ে বসে থাকবে। রামাদান চলে যাবে, কিন্তু রামাদানের ঔজ্জ্বল্য আমাদের মাঝে ছাপ রেখে যাবে — তাক্বওয়া। কথা থাকলেও আমরা কথা রাখিনি। যে মাসকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আর সবক’টা মাসের ওপর মর্যাদা দিয়েছিলেন, সেই মাসকে আমরা যথেষ্ট কদর করিনি। যদি কোনো মাসকে ‘বরণ’ করে নেওয়ার থাকে তবে সেটা রামাদান, বৈশাখ নয়। অর্থহীন নাটুকেপনা আর মেকি বাঙ্গালিত্বের দিনভিত্তিক উদযাপনে মুসলিমরা বিশ্বাস করে না। মুসলিমরা বিশ্বাস করে পবিত্র মাসে, যে মাস তাদেরকে আল্লাহ তাআলার কাছাকাছি আসবার সুযোগ করে দেয়। রামাদান আজ আমাদের কাছে ‘সাওম’ নয়, রামাদান আজ আমাদের কাছে উপবাস — সারাটি দিন না-খেয়ে-কাটিয়ে দেওয়া, আর সন্ধ্যাবেলা পেটপুরে খেয়ে সেটা পুষিয়ে নেওয়া। আমাদের রামাদানে তাই না-খেয়ে-থাকা আছে, ইফতার পার্টি আছে, তারাবীহ আছে, শপিং আছে — কিন্তু যেটা থাকা সবচাইতে জরুরি ছিলো, সেই তাক্বওয়া নেই। রামাদান আমাদের বদলাতে পারেনি, আমরাই রামাদানকে বদলে ফেলেছি। এমন তো কথা ছিলো না। তবে কেমন কথা ছিল? কেমন হতে পারতো রামাদান? কেমন করে আমরা তাক্বওয়া অর্জন করতে পারতাম? কেমন করে রামাদান আমাদের বদলে দিতে পারতো? কেমন করে আনুষ্ঠানিকতার বেড়াজাল ভেঙ্গে রামাদান আমাদের অন্তরে দাগ কাটতে পারতো? আমাদের চরিত্রে প্রভাব রাখতে পারতো? কেমন করে রামাদান হতে পারতো আমাদের বদলে যাবার মাস? এই বইটি এমনি সব বিষয়ে সুন্দরভাবে আলোচনা করেছে এই বইটি। তাই বইটি আজকেই অর্ডার দিয়ে সংগ্রহ করুন।।
আলহামদুলিল্লাহ্! " ধূলিমলিন উপহার রামাদান" অসাধারণ একটা বই। রামাদানের আগে সবারই একবার এই বই পড়া উচিত। রামাদান হলো আরো কিছু নতুন ইবাদাত শুরু করা ও নিজের উন্নতি ঘটানোর এক ঈমানী থেরাপি। ধীরে ধীরে এটা শুরু করুন। ফজরের তিন বা পাঁচ মিনিট আগে ইস্তিগফারের জন্য বসে পড়ুন। আবার এই কথা শুনেই অতি উৎসাহী হয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে এ কাজ করতে যাবেন না। কারণ এটা শয়তানের একটা চাল হতে পারে। কেউ হয়তো একটা ইবাদাতের ফজিলত শুনে উত্তেজিত হয়ে পড়ল, শয়তান তখন তাকে এই কাজে দীর্ঘক্ষণ লাগিয়ে রেখে ইবাদাতের প্রতি তার সব শক্তি আর আগ্রহ শেষ করে ফেলে।ফলে সে এক রাত ইবাদাত করার পরেই সেই ইবাদাত ছেড়ে দেয়। ইবাদাত করা হলো নতুন গাড়ি কেনার মতো। দোকানদার আপনাকে বলে দিবে আস্তে আস্তে ইঞ্জিনের জড়তা কাটাতে। শুরুতেই সত্তর মাইল বেগে চালাতে শুরু করলে হবে না। আস্তে আস্তে শুরু করতে হবে। " আর আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের প্রতি সুদৃষ্টি রাখেন। যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা ঈমান এনেছি, কাজেই আমাদের গোনাহ ক্ষমা করে দাও আর আমদেরকে দোযখের আযাব থেকে রক্ষা কর। তারা ধৈর্যধারণকারী, সত্যবাদী, নির্দেশ সম্পাদনকারী, সৎপথে ব্যয়কারী এবং শেষরাতে ক্ষমা পার্থনাকারী।" (সূরা আলে ইমরান: আয়াত ১৫-১৭) "ধূলিমলিন উপহার রামাদান"
রমাদান বিষয়ক সবচেয়ে ভালো বই গুলোর গুলোর ভালো বই গুলোর গুলোর বই গুলোর গুলোর একটি শাইখ মুসা জিব্রিল (হাফি) পবিত্র রমাদানের শিক্ষা, জিজ্ঞাসা ও আমল নিয়ে যে ধারাবাহিক দারস দিয়েছিলেন, তার বাংলা অনুবাদ এই বইটি বইটি। তালিম করার জন্য উপযুক্ত একটি বই। রমাদানের একমাস আগে থেকেই এই বইয়ের তালিম শুরু করা, রমাদানের চেতনা অন্তরে জাগাতে সহায়ক হবে আশা করি। সাহাবীরা রমাদানের চার মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নিতেন, রমাদানের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতেন। আমাদেরও প্রয়োজন পর্যাপ্ত প্রস্তুতি, নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়া, রমাদানে কি করবো আর কি করবো আর কি করবো না তার পরিকল্পনা তৈরি করা। শাইখ আহমাদ মুসা মুসা জিবরীলের " Gems of ramadan" সেই প্রস্তুতির এক অসাধারণ ম্যানুয়াল। সেই বিখ্যাত লেকচার সিরিজের সিরিজের অনুবাদ "ধূলিমলিন উপহার রামাদান" বইটি। আমি বলব শুধু রমাদানের প্রস্তুতির জন্য না জীবনের চলার পথের পস্তুতির জন্য আই বইটা সকলের পড়া উচিত।
রমাদান আমাদের জন্য এক অপূর্ব নিয়ামাহ। এই মাসে ইখলাসের সাথে সাওম পালন ও অনান্য ইবাদত করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর প্রিয় হতে পারি যদি রমাদানের পুরো সময়টা আমরা সঠিক ভাবে কাজে লাগাই। এজন্য দরকার পূর্ব প্রস্তুতি। আমাদের সাহাবা (রাঃ) ছয় মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নিতেন রমাদানের৷ আমাদেরও উচিত যে কয়দিন আছে রমাদানের প্রস্তুতি নেয়া। রমাদানের প্রস্তুতির জন্য " ধূলিমলিন উপহার রমাদান" একটা বেস্ট গাইডলাইন। বইটিতে অনেক সুন্দর করে সব গুছিয়ে বর্ণনা করেছে শাইখ মূসা জিবরীল (হাফিঃ) "ধূলিমলিন উপহার রামাদান" এই বইটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।