দেশের সমসাময়িক ঘটনা প্রবাহের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে 'ধর্ষণ বিষয়ক' আলোচনা সবচেয়ে বেশী সংখ্যক বার গুরুত্ব পেয়েছে। তা হোক স্বাভাবিক চিন্তাধারায় কিংবা অজ্ঞাত ভাবনায়। তবে গত কয়েক বছর ধরেই সামাজিক সমস্যাগুলোর মধ্যে 'ধর্ষণ' বিষয়টি আলোচনার তুঙ্গে রয়েছে। ধর্ষণ কী? একজন ব্যক্তির অনুমতি ব্যতিরেকে তার সঙ্গে যৌনসঙ্গম বা অন্য কোনো ধরনের যৌন অনুপ্রবেশ ঘটানোকে ধর্ষণ বলা হয়। ধর্ষণ শারীরিক বলপ্রয়োগ, অন্যভাবে চাপ প্রদান কিংবা কর্তৃত্বের অপব্যবহারের মাধ্যমে সংঘটিত হতে পারে। অনুমতি প্রদানে অক্ষম (যেমন- কোনো অজ্ঞান, বিকলাঙ্গ, মানসিক প্রতিবন্ধী কিংবা অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি) এরকম কোনো ব্যক্তির সঙ্গে যৌনমিলনে লিপ্ত হওয়াও ধর্ষণের আওতাভুক্ত। ২০১৯ সালে ৫ হাজার ৪০০ নারী এবং ৮১৫টি শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। ২০১৮ সালে শিশু ধর্ষণের মামলা ছিল ৭২৭টি এবং নারী ধর্ষণের মামলা ছিল ৩ হাজার ৯০০টি। যা আগের বছর গুলোর তুলনায় দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। কিন্তু এই সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। কেনো বাড়ছে? আমাদের ব্যর্থতা কোথায়? কী কী কারণ প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে? কেনই বা হচ্ছে এই অসুস্থ চিন্তার চর্চা এবং ক্রম বিস্তার? মানুষ হিসেবে কতটা দায়বদ্ধতা রয়ে যাচ্ছে আমাদের? ধর্ষণের বিরুদ্ধে কলম চলুক। প্রতিবাদ চলুক রাস্তায় কিংবা কাগজে। প্রতিবাদের সকল মাধ্যমে সোচ্চার হোক সকলেই। আর তারই ধারাবাহিকতায় এবারের বইমেলায় শোভা প্রকাশ থেকে বের হতে যাচ্ছে লেখক আরিফ বিল্লাহ'র 'ধর্ষণ এবং একটি দার্শনিক জিজ্ঞাসা' নামক বইটি।