এই যে কবিতা-রূপ এত লেখা ছেপে বেরোয় চারিদিকে, নিতাই কাকা ছাড়া কে আর বলবে আমাকে, কবিতা নয় ঘটি-গরম চানাচুর! ইতোমধ্যে গত হয়েছেন তিনি। বাড়ি এসে এবার ভস্মমাখা সেই সাধুর দেখাও পেলাম না। বহুদিন হল তিনি নিরুদ্দেশ হয়েছেন। তাকে বলার ছিল, তোমার কল্পিত ঘোড়ার খুর এখনো কি টপকে টপকে যায় সাতটা পৃথিবী?
বাড়ির আঙিনায় মোরগ-লড়াইয়ের পর যোদ্ধামোরগের ঝরে পড়া পালকগুলো কিছু একটা ইঙ্গিত করেছিল আমায় একদিন। জানি তাদের খুঁজে পাব না আর কখনো। ফেরার আগে, আমার ব্যথিত হাত রাখলাম বাড়ির সামনের সেই কাঠগোলাপ গাছের কর্কশ শাখায়। তার কাছে দাঁড়িয়ে আমি প্রথম উপলব্ধি করেছিলাম লুঙ্গিনুসের সেই কথাটা, যে, সৌন্দর্য, প্রকৃতি, শিল্প... এরা সব ভিতর থেকে লুকানো