‘ঢাকা ডায়েরি' ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ঢাকাকেন্দ্রিক কর্মকাণ্ডের রেকর্ড হিসেবে পরিচিত। ব্রিটিশ সিভিলিয়ানেরা ভারত তথা বাংলায় ইতিহাস চর্চার যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছিলেন তার ধারাবাহিকতায়ই ‘ঢাকা ডায়েরি' প্রকাশিত হয়েছিল। উইলিয়াম জোন্স প্রতিষ্ঠিত এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল, খণ্ড ১৬, ১৯২০ (নিউ সিরিজ)-এ এটি প্রকাশিত হয়। জে টি রেস্কিন ডায়েরিটি সম্পাদনা করেন ও একটি ভূমিকা লেখেন যা বর্তমান গ্রন্থেও সন্নিবেশিত হয়েছে। এশিয়াটিক সোসাইটি জার্নালে প্রকাশিত 'ঢাকা ডায়েরির দুটি অংশ রয়েছে। একটি অংশ সতেরো শতকের শেষ দুই দশক নিয়ে ও অপর অংশটি আঠারো শতকের প্রথমার্ধের কয়েক দশক নিয়ে প্রকাশিত হয়। ১৬৬৮ সালের ১২ জানুয়ারিতে হুগলিতে লেখা চিঠির মাধ্যমে কোম্পানি ঢাকায় একটি এজেন্সি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্তকে অনুমোদন করে। উল্লেখ্য যে, তখনো কলকাতায় ইংরেজ বসতি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ১৬৬৮ থেকে ১৬৬৯-এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মি. মার্চ চিফ হিসেবে ঢাকায় দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু এর পূর্বে ১৬৫৮ সালে জেমস হার্ট প্রথম ভূমিদান ও বাণিজ্যিক মালামাল বিষয়ে পদক্ষেপ নেন। জে টি রেঙ্কিন বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রভাবশালীদের পরিচয় টিকা হিসেবে ডায়েরির শেষে সংযোজন করেছেন। ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায়, প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানা বিষয় ডায়েরিতে বর্ণিত হয়েছে। মি. রেস্কিন ব্রিটিশ কর্মকর্তা হিসেবে ঢাকায় দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাঁর নামে পুরনো ঢাকায় অদ্যাবধি রেস্কিন স্ট্রিট রয়েছে