দেয়াল
*বইয়ের নাম :দেয়াল *লেখক : হুমায়ূন আহমে হুমায়ূন আহমেদের শেষ উপন্যাস। শুধু শেষই না, এটি একটি অসমাপ্ত উপন্যাস । তবুও পাঠক মহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা ফেলা একটি উপন্যাস। উপন্যাসটির পুরোটাই হুমায়ূন আহমেদ নিজ ভাষায় বর্ণনা ও নিজের মত করে বর্ণনা করেছেন। তাই ভাষা ও বইটির সাবলীলতা সব পাঠককেই আগ্রহী করে তুলেছে। বইটিতে বিভিন্ন আখ্যান সুন্দরভাবে ও সমান্তরালে বর্ণনা করেছেন লেখক হুমায়ূন আহমেদ৷ বইটি মুলত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক। এছাড়াও পাশাপাশি আরো কাহিনীর বর্ণনা খুঁজে পাওয়া যাবে বইটিতে৷ মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী হুমায়ূন আহমেদ নিজের ভাষায় বর্ণনা করেছেন এই বইটিতে। হুমায়ূন আহমেদের স্বভাবসিদ্ধ কিছু এপিগ্রামের নমুনা যা বইটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে : মানুষ এবং পশু শুধু যে বন্ধু খোঁজে তা না, তারা প্রভুও খোঁজে এই পৃথিবীতে মূল্যবান শুধু মানুষের জীবন, আর সবই মূল্যহীন। মানবজাতির স্বভাব হচ্ছে সে সত্যের চেয়ে মিথ্যার আশ্রয়ে নিজেকে নিরাপদ মনে করে।
মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ইতিহাস, বঙ্গবন্ধু হত্যাপরবর্তী ইতিহাস, এক অসাধারণ সুন্দর মেয়ের গল্প ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক কথা যা আমরা শুনেছি তার সবকিছু এক্সুত্রে গেঁথেছে "দেয়াল" । মূল আকর্ষণ অবন্তীকে কেন্দ্র করে শুরু হলেও মাঝে অনেক সত্য ইতিহাস গেথে দেওয়া হয়েছে যা আমাদের বেশি জানা নেই। তবে "দেয়াল" শেষ করে সবার মনে হবে এটি একটি অসামাপ্ত কাহিনি! #বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_মার্চ_২০১৯
আমি হুমায়ুন আহমেদের বিশাল একজন ভক্ত। তবে দেয়াল উপন্যাসটি এককথায় অসাধারণ। এর প্রধান কারণ হল,উপন্যাসের পটভূমি রচিত হয়েছে সেই সময়টিকে ঘিরে,যাকে নিয়ে প্রচুর জল্পনা থাকলেও যার সম্পর্কে লেখা খুব বেশি নেই । একজন ঔপন্যাসিকের দৃষ্টিতে তৎকালীন পলিটিক্যাল পরিস্থিতির চিত্রায়ন সত্যিই অসাধারণ । এর মাধ্যমে আরেকটি জিনিস সবার জানার সুযোগ হয়েছে । সেটি হল ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু ও চারনেতা হত্যার পেছনের মানুষগুলা কিন্তু কেউ রেহাই পায়নি । নিজেরাই নিজেদের একে একে নিশ্চিহ্ন করেছে ।লেখক এর এই বইটির মাধ্যমে আমি সঠিক ইতিহাসকে জানতে পেরিছি।