মামুন সিদ্দিকী (১৯৭৮) প্রাবন্ধিক ও গবেষক। জন্ম মামার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ঘােলখার গ্রামে, পিতৃভূমি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দিঘিরপাড়প্রজাপতি গ্রামে। মাতা সুরাইয়া বেগম, পিতা বঙ্গবন্ধু আইন। কলেজের প্রভাষক অ্যাডভােকেট খায়রুল ইসলাম। আধুনিক বাংলার সাংস্কৃতিক জাগরণ ও বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাস। তার অন্বেষার বিষয় । ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে। অনুসন্ধিৎসু। মানববিদ্যা ও স্থানীয় ইতিহাসের আলােকে ইতিহাস পুনর্গঠনে মনােযােগী। গবেষণা, প্রবন্ধ, জীবনী,। গল্প, স্মারকগ্রন্থ, রচনাবলি ইত্যাদি মিলিয়ে গ্রন্থসংখ্যা ২৪। স্বীকত জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে দশটিরও বেশি প্রবন্ধ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইতিহাস সম্মেলনে কয়েকটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক সম্মান (১৯৯৮) ও স্নাতকোত্তর (১৯৯৯)। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগে ‘আবদুল রসুল ও বাংলার রাজনীতি বিষয়ে এমফিল (২০১৬) । বর্তমানে ঢাকা। বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগে পিএইচডি গবেষণারত । যুক্ত ছিলেন বেশ কিছু উল্লেখযােগ্য গবেষণাকর্মে। এর মধ্যে রয়েছে : গবেষণা সহযােগী, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ গবেষণা। প্রকল্প (বঙ্গবন্ধু চেয়ার, ইতিহাস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ২০০২); গবেষক, ‘আখতার হামিদ খান স্মারকগ্রন্থ। প্রকাশনা প্রকল্প (বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, ২০০২২০০৪)। বর্তমানে যুক্ত : জেলা সমন্বয়কারী, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এনসাইক্লোপিডিয়া’ (বাংলাদেশ এশিয়াটিক। সােসাইটি, ২০১৪) এবং ভূক্তি নির্ধারক ও লেখক, বাংলা চরিতাভিধান' প্রকল্প (উচ্চতর মানববিদ্যা গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ২০১৬)। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে কাজ করেছেন গবেষণা কর্মকর্তা হিসেবে। ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের সহযােগী হিসেবে সম্পাদনা করছেন ‘১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন নির্ঘণ্ট গ্রন্থমালা'। গ্রন্থমালায় এ পর্যন্ত বের হয়েছে ৩১টি গ্রন্থ। গবেষণায় অবদানের জন্য লাভ করেছেন ‘বিনয় সাহিত্য সংসদ সম্মাননা' (২০১৬)।
গৌরাঙ্গ নন্দী
মুনতাসীর মামুন
মুনতাসীর মামুনের জন্ম ১৯৫১ সালে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে এম. এ.. পিএইচ. ডি. ডিগ্রি লাভ করেছেন। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক। লেখালেখি করছেন ১৯৬৩ সাল থেকে। ছাত্রজীবনে জড়িত ছিলেন ছাত্র-আন্দোলনে এবং ১৯৬৯ সাল থেকে এ-পর্যন্ত অংশগ্রহণ করেছেন প্রতিটি সাংস্কৃতিক ও গণআন্দোলনে। স্বাধীন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন সম্পাদক। একই সময়ে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি। তাঁর সম্পাদনায় প্রথম প্রকাশিত হয় ডাকসু’র মুখপত্র ছাত্রবার্তা। এছাড়াও বাংলাদেশ লেখক শিবির ও বাংলাদেশ লেখক ইউনিয়নের ছিলেন তিনি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও যথাক্রমে প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক ও যুগ্ম সম্পাদক। ঢাকা নগর জাদুঘরের তিনি অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের উদ্যোক্তাদের মধ্যে ছিলেন তিনিও একজন । এছাড়াও তিনি জড়িত বিভিন্ন একাডেমিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। বাংলাদেশে লেখালেখির জগতে মুনতাসীর মামুন একটি বিশিষ্ট নাম। সমসাময়িককালে তার মতাে পাঠক নন্দিত লেখক খুব কমই আছে। গল্প, কিশােরসাহিত্য, প্রবন্ধ, গবেষণা, চিত্রসমালােচনা, অনুবাদ ইত্যাদিতে তার স্বচ্ছন্দ বিচরণ ও সেই সাথে রাজনৈতিক ভাষ্যে অর্জন করেছেন বিশেষ খ্যাতি । উল্লিখিত প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার একাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১৭০। বাংলা একাডেমী পুরস্কার, লেখক শিবির পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক পুরস্কার, ড. হিলালী স্বর্ণপদক পুরস্কার, প্রেসিডেন্ট পুরস্কার (১৯৬৩), মার্কেন্টাইল ব্যাংক স্বর্ণপদক ইত্যাদিতে তিনি সম্মানিত। স্ত্রী ফাতেমা মামুন ছিলেন একজন ব্যাংকার ।