ডাটা সায়েন্স এবং মেশিন লার্নিং শব্দ দুটি সম্পর্কে পুরোপুরি জানাশোনা মানুষের সংখ্যা আজও আমাদের পৃথিবীতে কম। বর্তমানে আমাদের পুরো পৃথিবী ডাটার উপর নির্ভরশীল। বিগ ডাটার যুগ পেরিয়ে আমরা বর্তমানে বসবাস করছি হাইপার ডাটার যুগে। প্রতি সেকেন্ডে, প্রতি মিনিটে, প্রতি ঘন্টার উৎপন্ন হচ্ছে নানা রকমের অগণিত ডাটা। এই ডাটাগুলোকে ম্যানেজ করা এবং ব্যবহার করে ভালো কিছু করার জন্যই মূলত ডাটা সায়েন্টিস্ট নামক একটি বিশেষায়িত পেশার সৃষ্টি।
ডাটা সায়েন্টিস্ট হবার ক্ষেত্রে ডাটা সায়েন্স সম্পর্কে আগে আমাদের জানাশোনা থাকতে হবে। ডাটা সায়েন্স সম্পর্কে জানার পর আমাদের জানতে হবে মেশিন লার্নিং সম্পর্কে। এই বিষয়গুলো টেকনিক্যাল মনে করে আমাদের মধ্যে অনেকেই এই বিষয়গুলো নিয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহ দেখান না। আবার, আরো একটি শ্রেণী রয়েছে যারা মূলত ডাটা সায়েন্স এবং মেশিন লার্নিং সম্পর্কে কিছুটা ধারণা রাখেন তারপরও ধারণাগুলোকে আরো মজবুত করা এবং সঠিকভাবে জানার জন্য তারা গাইডলাইন খুঁজে থাকেন। এছাড়াও, আরো একটি শ্রেণী আছেন যারা মূলত নতুন কিছু জানার জন্য আগ্রহী থাকেন। সেক্ষেত্রে, ডাটা সায়েন্স এবং মেশিন লার্নিং জানার মতো একটি নতুন বিষয়ও বটে।
আমার বইটি উপরোক্ত তিন শ্রেণীর পাঠকের কথা বিবেচনায়ই সাজানো হয়েছে। বইটিতে প্রথম দিকে ডাটা সায়েন্সের বেসিক বিষয়গুলো সম্পর্কে সাবলিল ভাষায় উদাহরণ সহ আলোচনা করা হয়েছে। তারপর, বইটিতে, পাইথন ব্যবহার করে বেসিক ডাটা সায়েন্সের কিছু কাজ করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও, বইটির প্রতিটি অধ্যায়ের শেষে ডাটা সায়েন্স ইন অ্যাকশন নামে একটি সেশন যুক্ত করা হয়েছে যাতে বিশ্বের নানা দেশের ডাটা সায়েন্সের এবং মেশিন লার্নিংয়ের উদাহরণ যুক্ত করা হয়েছে। এতে করে, ডাটা সায়েন্সের এবং মেশিন লার্নিংয়ের জগৎ সম্পর্কে আরো পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে। আবার, উদাহরণগুলো সাধারণ ইংরেজি ভাষায় দেয়া হয়েছে এতে করে কিছুটা হলেও ইংরেজি ভাষার চর্চাও হয়ে যাবে।
পরিশেষে বলবো,বইটিকে যতদূর সম্ভব পাঠকের উপযোগী করে তোলার চেষ্টা করেছি যাতে ডাটা সায়েন্স নামক ক্রমশ জনপ্রিয় এই বিষয়ের উপর জানাশোনার জন্য পাঠকগণ আগ্রহী হন।
নূর আল আহাদ
নূর আল আহাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেষ করার পর বাংলাদেশের একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে কাজ করেন কিছুদিন। তারপর মালয়েশিয়ান সরকারের ইয়াইয়াসান খাজানা বৃত্তি পেয়ে মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়া (যার বিশ্ব রাংকিং ১৩২ কিইউএস টপ বিশ্ববিদ্যালয় রাংকিং ২০২১) থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেন। এমবিএ শেষ করার পর কিছুদিন দেশের একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতা করেন তিনি। তারপর আবারও জাপান সরকারের একটি বিশেষ বৃত্তির আওতায় ফিনান্সিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে গবেষণার জন্য পাড়ি জমান সুদূর জাপানে। জাপানের তোয়োহাসি ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি থেকে পড়াশোনার পর বর্তমানে জাপানেই পিএইচডি করছেন লেখক। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরণের বিষয়গুলো নিয়ে লিখতে পছন্দ করেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার লেখাগুলো নিয়মিত ফলো করেন দেশ এবং বিদেশে অবস্থানরত অনেকেই। মার্কেটিং বিষয়ে লেখকের বেশ কিছু লেখা রয়েছে যা মার্কেটিং বিষয়ে পড়ুয়া এবং মার্কেটিং নিয়ে কাজ করেন এমন সবার জন্য সুখকর পাঠ বলে বিবেচিত হবে। মার্কেটিংনামা বইটিতে লেখক মার্কেটিং অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো খুব সুন্দর করে উদাহরণ দিয়ে উপস্থাপন করেছেন। লেখালেখি ছাড়াও লেখক গবেষণা কর্মেও অনেক দক্ষ। দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের বাইরে বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনার জন্য তিনি তৈরী করেছেন বাংলাদেশ স্কলারশিপ স্কোয়াড নামে একটি গ্রুপ। এছাড়াও গবেষণা নিয়ে কাজের জন্য তার একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যা আব্দুল কাদের-ফেরদৌস আরা মেমোরিয়াল রিসার্চ সেন্টার নামে পরিচিত। ইদানীং তিনি বিসনেস কনসাল্টিং কাজের ক্ষেত্রেও মনোনিবেশ করেছেন এবং শুরু করেছেন বাংলাদেশ বিসনেস স্কুল। ইতোমধ্যেই একজন দক্ষ এবং প্রতিভাবান ব্যক্তি হিসেবে লেখক নানা মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।