সিপাহি বিদ্রোহ মির্জা গালিবের জীবন তছনছ করে দেয়। এই বিদ্রোহের অভিঘাত-সৃষ্ট রাজনৈতিক আলোড়ন নানাভাবে প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি। সেই সব দিনের ধারাবাহিক বিবরণ বিধৃত হয়েছে তাঁর এই রোজনামচায়। একই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তাঁর দুঃসহ জীবনেরও দিনপঞ্জি।
মির্জা গালিব
জাফর আলম
জাফর আলমের জন্ম 1943 সালে পর্যটন শহর কক্সবাজারে। স্কুল জীবন থেকে তার লেখালেখি ও সাংবাদিকতা শুরু। পঞ্চাশের দশকে তিনি সাপ্তাহিক পল্লীবার্তা (পরবর্তীকালে পূর্বদেশ), দৈনিক সংবাদ এবং তৎকালীন পাকিস্তান অবজার্ভার (বর্তমানে বাংলাদেশ অবজার্ভার)- এর বগুড়া জেলা সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন। 1964 সালে তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তানের (অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলা) সহ-সম্পাদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে দৈনিক জনপদে সিনিয়র সহ-সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন। 1975 সালে সরকারী নির্দেশে দৈনিক জনপদ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আবলুপ্ত সংবাদপত্রের উদ্বৃত্ত সাংবাদিক হিসেবে তথ্য অধিদপ্তরে তথ্য অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে সাফল্যের সাথে কাজ করেন। তিনি কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে কাউন্সিলার (প্রেস) হিসেবে কাজ করেন। তিনি তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন তথ্য অধিদপ্তরের সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য অফিসার (প্রেস) হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। মুন্সী প্রেমচন্দ্রের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে 1981 সালে (29 জুলাই থেকে 31 পর্যন্ত) বানারসীতে ভারতীয় সাহিত্য একাডেমী এক আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে জাফর আলম বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন এবং প্রেমচন্দ্রের সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে একটি নিবন্ধ পাঠ করেন। অনুবাদক হিসেবে জাফর আলম সুপরিচিত। ইতোমধ্যে তাঁর 18 টি অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। সাহিত্য ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য কলকাতার সাহিত্য মাসিক প্রমার পক্ষ থেকে জনাব জাফর আলমকে 1997 সালের মার্চ মাসে প্রমা সাহিত্য পদক প্রদান করা হয়।