এই বইটি লেখা হয়েছে তাঁদের জন্য, যাঁরা দর্শনের ছাত্র না হয়েও দর্শন বিষয়ে আগ্রহী। পাশ্চাত্য জগতের অত্যন্ত প্রভাবশালী চিন্তাবিদ বার্ট্রান্ড রাসেলের চিন্তার বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ এক পর্বের মাইলফলক বলা যায় এই পুস্তকটিকে। দার্শনিক প্রবন্ধাবলি নামের এই বইটিতে আছে মোট সাতটি প্রবন্ধ। নৈতিকতা থেকে সত্যের প্রকৃতির মতো নানা বিষয় নিয়ে রাসেল এখানে আলোচনা করেছেন, বিভিন্ন ধারণাকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই ও বিশ্লেষণ করেছেন। ভাবনার বৈচিত্র্য, গভীর অন্তদৃর্ষ্টি এবং প্রকাশভঙ্গির সারল্যে এই প্রবন্ধগুলো আজকের দিনেও ততটাই সমুজ্জ্বল ও প্রাসঙ্গিক, যতটা ছিল প্রথম প্রকাশের সময়। বাংলা ভাষায় দর্শনশাস্ত্র চর্চায় একটি মূল্যবান সংযোজন এই বই
বার্ট্রান্ড রাসেল
বার্ট্রান্ড আর্থার উইলিয়াম রাসেল জনপ্রিয় পরিচিতি বার্ট্রান্ড রাসেল। জন্ম ১৮৭২ সালে ইংল্যান্ডে। লিখেছেন বহু মননশীল বই। বইয়ের বিষয় ছিল শিক্ষা, বিজ্ঞান, রাজনীতি, সমাজতত্ত্ব প্রভৃতি। কিন্তু তিনি বিশ্বে সমধিক পরিচিত দার্শনিক হিসাবে, পাশাপাশি গণিতবিদ হিসাবেও ছিল তাঁর বিশ্বখ্যাতি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে শান্তিবাদীর ভূমিকার জন্য কারাদণ্ড ভােগ করেন। পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের সপক্ষে এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে তাঁর ছিল প্রতিবাদী সংগঠকের ভূমিকা। সাহিত্যে নােবেল পুরস্কার পান ১৯৫০-এ। প্রচলিত প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের বিপরীতে দাঁড়িয়ে নিরীশ্বরবাদ প্রচারে উদ্যোগী ও উদ্যমী ছিলেন তিনি। তাঁর উল্লেখযােগ্য গ্রন্থসমূহের মধ্যে রয়েছে ‘প্রিন্সিপলস অফ ম্যাথমেটিকস্, এ. এন. হােয়াইটহেড-এর সঙ্গে যৌথভাবে লিখিত ‘প্রিন্সিপিয়া ম্যাথমেটিকা’, ‘প্রবেলমস্ অফ ফিলসফি’, দ্য এ. বি. সি. অফ রিলেটিভিটি', দ্য অ্যানালইসিস্ অফ ম্যাটার', “পলিটিক্যাল আইডিয়ালস’, ‘হিস্ট্রি অফ ওয়েস্টার্ন ফিলসফি প্রভৃতি। রাসেল প্রয়াত হন ১৯৭০-এ আটানব্বই বছর বয়েসে।