ভূমিকা স্বাধীনতা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাঙালির চিরন্তন শত্রুরা এবং লুটেরা ধনিকরা এক জোট হয়ে একাত্তরের চেতনাকে আঘাত করতে থাকে। অতঃপর বঙ্গবন্ধু হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মানুষদেরকে বিপর্যস্ত করে জাতি বিরোধী ও প্রগতি বিরোধী মূল্যবোধ চাপিয়ে দেয়। চেতনায় কঠিন শৃংল আরোপ করে সত্য কথনে মানুষকে বিরত রাখে। উপন্যাসের চত্রিগুলো এই পরিস্থিতির প্রতিবাদ করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালি-বিরোধী শক্তির শিকার হয়ে কঠিন মন্ত্রণালয় দগ্ধ হতে থাকে। তারা মুক্তিযুদ্ধের কথা নিজেদের কথা বলতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে। তারপরও তাদের মাথা তুলে দাঁড়ানো অংগীকার। পরিস্থিতির কাঠিন্যে ক্ষত-বিক্ষত মানুষগুলো একে একে হারিয়ে যেতে থাকে কিংবা নিঃস্ব রিক্ত হয়ে ওঠে। আবার তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারাবাহিকতায় নতুন চেতনা ও আত্মবিশ্বাসে জেগে উঠতে চায়। উপন্যাসের কাহিনী ও চরিত্রগুলো পরস্পর জড়াজড়ি করে আপন বিশ্বাস ও চেতনায় এভাবে এগিয়ে যেতে চাচ্ছে অবিরাম।