‘ক্রাই উলফ্’ বইয়ের কিছু কথাঃ উচ্ছল তরুণ জেক বারটন পেশায় এঞ্জিনিয়ার, যুদ্ধ শেষে কাজের আশায় ঘুরে ফিরছে। তাঞ্জনিয়ায়। নিদারুণ অর্থনৈতিক মন্দা চলছে পৃথিবী জুড়ে। অপরদিকে অভিজাত ইংরেজি, মেজর গ্যারেথ সোয়েলস-এর রয়েছে তড়িৎ দান মেরে টাকা কামানোর স্পৃহা| বন্ধুত্ব হলো দুজনের। ১৯৩৫ সালের শীত তখন ইতালির একনায়ক মুসোলিনি, অসহায় ইথিওপিয়ার অধিবাসীদের দেশ-ছাড়া করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এগিয়ে চলেছে তার বর্বর সেনাবাহিনী| এমন সময়, ইথিওপিয়া গোত্রের এক সর্দারের সঙ্গে ব্যবসায় নামলো গ্যারেথ এবং জেক। ওদের কাজ- সমুদ্র এবং মরু পাড়ি দিয়ে যুদ্ধরত অসহায় আদিবাসীদের কাছে পৌঁছে দিয়ে আসতে হবে চারটি আর্মরড কার। একই সঙ্গে, সুন্দরী তরুণী মার্কিন সাংবাদিক ভিকি কেমবারওয়েল যাবে তাদের অভিযানে। উদ্দেশ্য ভয়াবহ নৃশংস এই অন্যায় যুদ্ধের কথা বিশ্ববাসীকে জানানো৷ শুরু হলো দুই বন্ধুর অ্যাডভেঞ্চার। শেষ পর্যন্ত কী ইথিওপিয়ায় পৌঁছুতে পারলো তারা? কে পেলো ভিকির ভালোবাসা? টান টান উত্তেজনার ক্রাই উলফ ... একই সঙ্গে মানবতার জয়গান এবং প্রেমের কাহিনী।