ক্রাচের কর্নেল (বাংলা একাডেমী পুরুস্কারপ্রাপ্ত) (হার্ডকভার)
বইঃ ক্রাচের কর্নেল লেখকঃ শাহাদুজ্জামান প্রকাশকালঃ ২০০৯ প্রচ্ছদঃ ধ্রুব এষ রেটিংঃ ৪.৫/৫ মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ের ইতিহাসের প্রতি আমার সবসময়ই আকর্ষণ ছিল। কিন্তু গতবাধা ইতিহাস পড়া আমার জন্য পীড়াদায়ক। সেক্ষেত্রে ক্রাচের কর্নেল আমার জন্য আদর্শ বই। বইটি মূলত ইতিহাস নির্ভর কর্নেল তাহেরের বায়োগ্রাফিক্যাল উপন্যাস। বীর মুক্তিযোদ্ধা তাহেরের বাল্যকাল হতে তার মৃত্যুদন্ড পর্যন্ত ঘটনাপ্রবাহ লেখক সাবলীলভাবে বর্ণনা করে গেছেন। মনে হচ্ছিল যেন আমিই কর্নেল সাহেবের সাথে সারাটা সময় দেখে গেছি সবকিছু। তার পরিবারের অসম সাহসী ভাইবোনদের দিকে তাকালে লজ্জা হয়। তার পরিবার ওই সময়েই কত অগ্রসর মন মানসিকতার অধিকারী ছিল। আমরা এই বয়সেও কত কিছু করতে ভয় পাই। অথচ কতটা সাহস নিয়ে সামনে থেকে লড়াই করে গেছেন দেশের জন্য। ভাবেননি নিজের স্বার্থের কথা। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যাদের আগ্রহ তাদের এই বই পড়া উচিত বলে আমি মনে করি। এই বই কেউ পড়লে আর কর্নেল তাহেরের জীবনী উপলব্ধি করতে পারলে কারো মোটিভেশনাল স্পিচের দরকার হবে না।
‘ক্রাচের কর্নেল’ শাহাদুজ্জামানের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এক অসাধারন উপন্যাস। এই উপন্যাসে প্রধান চরিত্রে আছেন মুক্তিযুদ্ধের খেতাব প্রাপ্ত একজন কর্নেল। যে স্বপ্ন দেখে এক অন্যরকম সোনার বাংলাদেশ গড়তে। সে এই সোনার বাংলাদেশ গড়তে নিজের উপর অনেক আত্নত্যাগ করেছেন। তিনি এই সোনার বাংলাদেশ গড়তে যোগ দিয়েছেন পাকিস্তান আর্মিতে, যাতে করে জাতি তার প্রকৃত স্বাধিনতার দিকে এগিয়ে যেতে পারে। তেমনি তার স্বপ্নের একটি কথা তুলে ধরেছেন এই বইয়ে। “আমি এমন একটা বাংলাদেশের কল্পনা করি যার নদীর দুপাশে উঁচু বাধ। সে বাঁধের উপর দিয়ে চলে গেছে সোজা পাকা রাস্তা, বাঁধের দুই পাশে ছড়ানো থাকবে দুটি গ্রাম। সেখানে সারি সারি সুন্দর নকশার ঘর বাড়ি নিয়ে গড়ে উঠেছে সুন্দর একটি জনপদ। প্রতিটা বাড়ির সামনে একটা সবুজ ঘাসে ঘেরা মাঠ। সেই মাঠে ছেলে মেয়েরা মেতে উঠে নানান খেলায়। হৈ চৈ করে ছেলে মেয়েরা ঐ রাস্তা ধরে স্কুলে যায়।" বইটি যে কেউ সংগ্রহে রাখতে পারেন।