কন্ট্রাক্ট
বইয়ের নামঃ কন্ট্রাক্ট ঘরনাঃ থ্রিলার, পলিটিক্যাল থ্রিলার। চরিত্রঃ বাস্টার্ড, জেফরি বেগ, ব্ল্যাক রঞ্জু, উমা, মিস্টার টেন পার্সেন্ট, প্রধানমন্ত্রী.... সহ প্রমুখ। রাজধানী শহর ঢাকা, লক্ষ লক্ষ মানুষের আবাসস্থল। কোটি মানুষের স্বপ্নের শহর ঢাকা। যে-ই ঢাকার আছে আলোকিত সকাল, তেমনিভাবে আছে অন্ধকার রাত। আর, সে-ই অন্ধকার রাতের একচ্ছত্র অধিপতি, ঢাকার বুকের অন্ধকার জগতকে দাপিয়ে বেড়ানো এক অধিপতি হচ্ছে সে, ব্ল্যাক রঞ্জু। বাস্তবে যে কখনও দিবালোকে সামনে আসে না, কারও চোখেও পড়ে না। সে কী আদৌ বেঁচে আছে নাকি মারা গিয়েছে, তাও লোকের মুখেও এক লোক রহস্য! মাদক, মেয়েবাজি, খুন, অপহরণ.... সহ এমন কোনো কাজ নেই, যা তথাকথিত ডন, ব্ল্যাক রঞ্জু, করে না। আর, সে-ই ব্ল্যাক রঞ্জু’কে-ই হত্যা করার জন্য বাস্টার্ড ফিরে এসেছে দেশে! সত্যি-ই কী তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে ব্ল্যাক রঞ্জুকে খুন করার জন্য? নাকি, এর পিছনেও জিইয়ে রাখা হয়েছে কোনো লুকায়িত সত্যকে! অন্যদিকে, ব্ল্যাক রঞ্জুকে খুঁজতে গিয়ে যখন টিকিটিকি ধরার খোঁজে বাস্টার্ড নামলো, ‘লেডি গিয়াস’ নামের ব্ল্যাক রঞ্জুর দলের এক লোক ধরে ফেললো বাস্টার্ড। তবে, সেখানে শুধু-ই ‘লেডি গিয়াস’কে ধরলো না, সাথে পেলো এক মেয়েকে। মেয়েটা নিজের সম্ভ্রম বাঁচানোর জন্য নিজেকে গুঁটিয়ে রেখেছে, ঠোঁট কেটে পড়ছে রক্ত। নিজেকে প্রথমবার মতো অন্য কোনো অজানা-অচেনা পুরুষের কাছে বিকিয়ে দেওয়ার চিন্তা নিয়ে সে এসেছিলো ‘লেডি গিয়াস’ এর কাছে কিন্তু ঘটনার রূপ বদলে গেলে মুহূর্তের মাঝে-ই। লেখক মোহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন উনার প্রথম মৌলিক বই ‘নেমেসিস’ দিয়ে বাংলা ভাষায় মৌলিক থ্রিলার গোছের সাহিত্যের ক্ষেত্রে বিরাট পটপরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন, আর সেটির যাত্রা ধরে রেখেছেন আজ অব্দি! বেশ সার্থকতার সাথে-ই লেখক দেখিয়েছেন, কীভাবে বাংলাদেশের চিরচেনা প্রেক্ষাপট আর পরিচিত জায়গা দিয়ে-ই থ্রিলার উপন্যাসের রহস্যের জাল বোনা সম্ভব। জেফরি-বাস্টার্ড সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব হল কন্ট্রাক্ট, যেখানে কাহিনী আবর্তিত হয়েছে দেশের অন্ধকার জগতের এক অধিপতি ব্ল্যাক রঞ্জুকে ঘিরে। ব্ল্যাক রঞ্জুকে খুন করার ‘কন্ট্রাক্ট’ দিয়েছিলো এক ব্যক্তি, ব্যবসায়িক কারণ দেখিয়ে খুন করার হেতু বলেছিলো বাস্টার্ডকে। কিন্তু, বাস্টার্ড নিজেও জানতো না, সে ষড়যন্ত্র আর পাল্টা ষড়যন্ত্র-রাজনীতির প্যাঁচ পড়ে যাবে আর সেখানে-ই সামনাসামনি হবে হোমিসাইড ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগের সাথে! নানা ঘটনা প্রবাহে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়, আর এক পর্যায়ে বাস্টার্ড ও জেফরি বেগের সামনে উন্মোচিত হয় অচিন্তনীয় কিছু সত্যের, যা বলতে গেলে গোটা হত্যা রহস্যের গতিপথ বদলে দেয়। বইপ্রেমী, থ্রিলারপ্রেমী এবং সব সাহিত্যপ্রেমীদেরকে বাংলা থ্রিলার সাহিত্যের অন্যতম দুর্দান্ত এক কাহিনী পড়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। এবং, কথা দিচ্ছে যে, পাঠক আপনি বিন্দু থেকে বিন্দুমাত্র হতাশ এবং বিরক্ত হবেন না।