ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ সুদূর প্রাচীনকালে এক সময় পানির নিচে জলকুমারী বা মৎস মানবেরা ছিল। জলের নিচে ছিল তাদের বিশাল সাম্রাজ্য বা কলোনী। অচেনা গভীর সাগরে এই সব জলকুমারীদের দেখতে পাওয়া যেতো। রোদ পোহাতে ভোরের বালুকাবেলায় জলে উপরে উঠে আসত ওরা। পানির উপরের মানুষের সাথে ওরা মত বিনিময় করতে। গভীর সাগরে জেলেদের জালেও এসব জল মানবেরা ধরা পড়ত কিছুদিন আগেও। কিন্তু জেলেরা ওদেরকে মানুষ ভেবেই সযত্নে ছেড়ে দিত । আরো অনেক দেশের অনেক কল্প কাহিনীতে মৎস মানবদের নান রকম রোমাঞ্চকর গল্প ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। বিশ্বাস করা যায় না আবার অবিশ্বাসও নয়, এই মৎস মানব বা জলকুমারীদের মন ভুলানো গল্প কথা। বিশেষ করে এই বইটিতে যে তিনটি মৎস মানবদের নিয়ে গল্পটি আছে সেটা যেনো একেবারেই সত্যি আর হাতের কাছের ঘটে যাওয়া বাস্তব ঘটনা । ছোট বড় সবার জন্য এই ছোট্র জলকুমারী বইটি।
রাশেদ মামুন
রাশেদ মামুন ঢাকায় জন্ম, ঢাকাতেই বসবাস। যে কোন সময় যে কোন অবস্থায় ভ্রমণের টানে বের হয়ে পড়েন। দেশ ও বিদেশে অবিশ্রাম ঘােরাঘুরি তার নেশার। মতাে। অজানাই তার পাঠশালা। ২০০৯ এর অক্টোবর মাসে লেখালেখি শুরু করেন। যেমন লিখছেন ছােটদের জন্য তেমন লিখছেন বড়দের জন্যও। ২০১০ এর বই মেলাতে তার বই বের হলে বই বিপুল পাঠক প্রিয়তা পায়। ২০১১ সালের বই মেলাতেও তার শিশুতােষ বই আসে এবং শিশুদের মাঝেও গৃহীত হয়ে যান তিনি। পেশায় নৌ-যান্ত্রিক প্রকৌশলী এই কবি ও লেখক ‘ম্যাজিক লণ্ঠন এবং কাব্য প্রকাশনার সাথে জড়িত। ধীরে ধীরে তিনি স্বনামধন্য সকল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ভরসামান লেখকে পরিণত হচ্ছেন। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মানিকদীতে বসবাস করেন। আর আড্ডা তা সবার সাথে সব সময় দেন। তাকে দেখে মনে হবে চেনা চেনা, যেন আপনার পাশের বাসার ছেলে।