শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম হুগলী জেলার অন্তর্গত দেবানন্দপুর গ্রামে বাংলা ১২৮৩ সনের ৩১শে ভাদ্র, ইংরেজি ১৮৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই সেপ্টেম্বর আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথা সাহিত্যিক বাংলা সাহিত্যের অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্রের জন্ম হয়। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পিতার নাম মতিলাল চট্টোপাধ্যায়, মায়ের নাম ভুবনমোহিনী দেবী। শরৎচন্দ্রেরা ছিলেন ছয় ভাইবোন। সবার বড়ো বোন অনিলা, তারপরই শরৎচন্দ্র। শরৎচন্দ্রের পর দুভাই তারপর দুই বোন। শরৎচন্দ্রের পিতা মতিলাল চট্টোপাধ্যায় ছিলেন উদাসী প্রকৃতির মানুষ। জন্য তার খ্যাতি ছিল। গল্প, কবিতা, উপন্যাস, নাটক রচনা করতেন। কিন্তু কোনোটাই শেষ করতে পারেননি। হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রামকে নিয়ে বহু পঙ্ক্তি লিখেছিলেন রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র। সে গ্রাম জড়িয়ে ছিল মহাকবির নামের সঙ্গেই। তবে তার পরে বাংলা সাহিত্যের মহাকাশে আর এক নক্ষত্র জন্ম নিলেন এই দেবানন্দপুরেই। তাঁর নাম শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
বিরাজ-বৌ’, দেবদাস, ‘পণ্ডিত-মশাই’, ‘বৈকুণ্ঠের উইল’, ‘মেজদিদি’, ‘দত্তা’, ‘পল্লী সমাজ’, ‘অরক্ষণীয়া’, ‘নিষ্কৃতি’, ‘গৃহদাহ’, ‘দেনা-পাওনা’, ‘নববিধান’, ‘মহেশ’, ‘পথের দাবী’, ‘শেষ প্রশ্ন’ তাঁর উল্লেখযোগ্য বই। একসময় তার যকৃতের ক্যান্সার ধরা পড়ে, যা তার পাকস্থলী পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল। বাংলা ভাষার এই সর্বশ্রেষ্ঠ কথাশিল্পী অমর ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্র ১৯৩৮ সালের ১৬ই জানুয়ারি কলকাতায় অমৃতলোকে যাত্রা করেন।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাঙালি সাহিত্যিক। তিনি ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের ১৫ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ ভারতের প্রেসিডেন্সি বিভাগের হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মতিলাল চট্টোপাধ্যায় ও মাতার নাম ভুবনমোহিনী দেবী। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে শরৎচন্দ্র ছিলেন দ্বিতীয়। তাঁর দিদি অনিলা দেবী ছাড়াও প্রভাসচন্দ্র ও প্রকাশচন্দ্র নামে তাঁর দুই ভাই ও সুশীলা দেবী নামে তাঁর এক বোন ছিল। শরৎচন্দ্রের ডাকনাম ছিল ন্যাঁড়া। দারিদ্র্যের কারণে মতিলাল স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ভাগলপুরেশ্বশুরবাড়িতে থাকতেন বলে শরৎচন্দ্রের শৈশবের অধিকাংশ সময় এই শহরেই কেটেছিল। আর তার সাহিত্যকর্মের জন্যে পাঠকের কাছে তিনি 'অপরাজেয় কথাশিল্পী' নামে কথিত হন।