বাংলা কথাসাহিত্যের আসরে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এক অবিস্মরণীয় শিল্পী। তাঁর গল্পগ্রন্থের সংখ্যা ষোল। ‘ছোটবকুলপুরের যাত্রী’ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চতুর্দশ গল্পগ্রন্থ। গল্পগ্রন্থে ঠাঁই পাওয়া গল্পগুলোর শিরোনাম হচ্ছে-ছোটবকুলপুরের যাত্রী, মেজাজ, প্রাণাধিক, ঘর করলাম বাহির, সখী, নিচু চোখে দু আনা আর দু পয়সা, নিচু চোখে একটি মেয়েলি সমস্যা।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
১৯মে ১৯০৮ সালে বিহারের দুমকা শহরে জন্ম। অঙ্কে অনার্স নিয়ে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ার সময় বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে ১৯২৮ সালে লিখে ফেললেন প্রথম গল্প অতসী মামী। প্রকাশিত হল ‘বিচিত্রা পত্রিকায় এরপর মাত্র ২১ বছর বয়সে উপন্যাস দিবারাত্রির কাব্য’। আলােড়ন পড়ে যায়। এরপর এক-এক করে অনেক লিখেছেন। তার মধ্যে বিশেষভাবে স্মরণীয়—পদ্মানদীর মাঝি, পুতুলনাচের ইতিকথা, জননী, স্বাধীনতার স্বাদ ইত্যাদি। উল্লেখযােগ্য গল্পগ্রন্থ—প্রাগৈতিহাসিক, আজ কাল পরশুর গল্প, ছােট বকুলপুরের যাত্রী। বৈজ্ঞানিক মতাদর্শে দীক্ষিত এই কথাশিল্পী সারাজীবন চরম দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করেছেন। সাহিত্য-সাধনা ছিল জীবিকার একমাত্র অবলম্বন কোথাও কখনও আপােস করেননি। প্রয়াণ ৩ ডিসেম্বর ১৯৫৬।