একটু পরেই আজান হবে। রুমি বারান্দায় বসেছিল নির্ঘুম। নানা সুখী ভাবনায় সে নিজেকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল এতক্ষণ- কিন্তু মাত্রই আসা সুরাইয়ার একটি ফোনকল তাকে এক মুহূর্তে এলোমেলো করে দিল। ওর মনে হলো সবকিছু ভেঙে পড়ছে- পৃথিবীর সব রং ওর চোখের সামনে ফিকে হয়ে গেল নিমিষেই। সে চিৎকার করে আজিজুর রহমানকে ডাকল, ‘আব্বু। আব্বু। ও আব্বু... ওঠো! বের হও।
আজিজুর রহমান ঘুমিয়েছিলেন। মেয়ের চিৎকার শুনে তড়িগড়ি করে উঠলেন। বাতি জ্বাললেন। রুমি দরজার সামনে মেঝেতে বসে হাত-পা ছুড়ছে। আজিজুর রহমান মেয়েকে টেনে তুলে বললেন, ‘কী হয়েছে মা?
কান্নার দমকে কিছুই বলতে পারল না রুমি... বুকের মধ্যে সে বোধ করল এক অপার শূন্যতা।
এই শূন্যতার শেষ কোথায়!
মনোয়ারুল ইসলাম
মনােয়ারুল ইসলাম
মানুষের জীবনে কতগুলাে অধ্যায় থাকে, গল্প থাকে। আবার কিছু কথা থাকে যা গল্পের চেয়ে বেশি কিছু সেসব জায়গায় সত্য আর মিথ্যা পাশাপাশি অবস্থান করে। এসব গল্প, কথা, অধ্যায়গুলাে লিখে যেতে চাই নিজের সাধ্যমত । সত্য, মিথ্যা, ভালোলাগা, সমালােচনা, আলোচনা সব পাঠকের কাছে। লেখক হিসেবে শুধু আমার সামথ্যটক আমৃত্যু তুলে দিতে চাই কলম আর কী-বাের্ডের ছােয়াতে।। মনােয়ারুল ইসলাম জন্ম ১৬ ডিসেম্বর, ব্রাহ্মনবাড়িয়া। প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ – ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাষায় অভিধান web.facebook.com/monowarul islam.14