চোরাকুঠি। একগুচ্ছ ছোটগল্পের পসরা। শেষ হয়েছে অনেক গল্পই যেমনভাবে শেষ হবার কথা ছিল ঠিক তার উল্টাভাবে। রবি ঠাকুরের ছোটগল্পের সঙ্গাকে অবাধ্য করেই ফ্রেমে বাধা প্রতিটা গল্প। সাহিত্য সেখানে আছড়ে পড়েছে। “চোরাবালি” “সম্পদ দাদার মাষ্টারি” “শ্যামা মেয়ে” অসম্ভব রকম ব্যতিক্রমভাবে গড়ে ওঠেছে, কখন যে শেষ হয়ে যায় টের পাওয়ার জো নেই। “মীরা”। খুব সাধারণভাবে বলা যায় চমৎকার একটা চরিত্র। ভাইবোনের খুনসুঁটি, আল্লাদ, জেদ, আবদার কি নেই “মীরা” চরিত্রে। প্রেমের গল্প। বেশ কয়টা, যার প্রতিটায় হতে পারত বিশাল উপন্যাস। ছোট গল্পের ছাটে সেগুলো সাবলীলভাবে খাপ খেয়ে গেছে। গ্রামের কিশোর জীবন, সফলতার গল্প, পীড়িত সংসারের গল্প সবকিছুর দেখা মিলে খানিক পর পর। “বেড়াজাল”। এই একটা গল্প নিয়েই অনেক অনেক কিছু বলা যায়। রবীন্দ্র সাহিত্য মিশে মনের ভাবনাগুলোকে ভাষাহীনভাবে ফুটে তুলেছে। সবমিলিয়ে “চোরাকুঠি” সত্যিকার অর্থে একগুচ্ছ ছোটগল্পের সমাহার। চোরাকুঠি