মহাগ্রন্থ আল-কুরআনকে শুধু মুমিনদের জন্যই নয়; বরং এটিকে বিশ্বের সকল মানবের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে নাযিল করা হয়েছে। মহান আল্লাহ্ বলেন, ‘এটি (আল-কুরআন) সকল মানবের জন্য হিদায়াতস্বরূপ’ (সূরা আল-বাক্বারাহ্, ২:১৮৫)। আল-কুরআনকে সমগ্র মানবজাতির বুঝার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় এটির অনুবাদ করা হয়েছে। কেননা সম্ভাব্য সকল উপায়ে আল-কুরআনের মর্মার্থ তুলে ধরতে পারলে তা ব্যক্তি, সমাজ ও জাতি গঠনে সহায়ক ভুমিকা পালন করবে। এই বইটিতে অত্যন্ত সহজ, সরল ও সাবলীলভাবে সহজবোধ্য শব্দে, ছন্দোবদ্ধভাবে আল-কুরআনের ত্রিশতম পারার যথার্থ অনুবাদ উপস্থাপন করার যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে। কোথাও কোথাও ছন্দের প্রয়োজনে অলংকার যোগ করা হয়েছে; তবে তাতে যেনো অর্থের কোনো পার্থক্য না হয় সেদিকে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। ফলে বইটি পাঠে পাঠকগণ কবিতার ছন্দে ছন্দে আল-কুরআনের ত্রিশতম পারার সকল সূরার অর্থ খুব সহজেই অনুধাবন করতে সক্ষম হবে এবং এতে তাদের মনে আল-কুরআনের বিধান মানার ব্যাপারে আগ্রহ তৈরি হবে ইনশাআল্লাহ্।
ড. হাসান আলী
ড. হাসান আলী
ডাকনাম-রুবেল। জন্ম ১৯৮২ সালের ২১ আগস্ট। জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলাধীন পূর্ণ গোপীনাথপুর গ্রামে। বাবা মো. মুসা খলিফা, আর মা মোছা. আলেয়া বিবি। মা-বাবার ৩ ছেলে ও ১ মেয়ের সংসারে তার অবস্থান তৃতীয়। নিজ গ্রামেই কাটে তার শৈশব ও কৈশোর জীবন।
তিনি ২০০০ সালে দাখিল ও ২০০২ সালে আলিম পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। অতঃপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগ থেকে ২০০৬ সালে বিএ (অনার্স) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে দশম এবং ২০০৭ সালে এমএ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে পঞ্চম স্থান অধিকার করেন। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) এর ‘এ্যাকাউন্টিং এ্যান্ড ফিন্যান্স’ বিভাগ থেকে ২০১৮ সালে এমবিএ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে ২০২৩ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি সরকারী মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকা থেকে প্রথম শ্রেণিতে ফাযিল ও কামিল (তাফসীর) ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট থেকে ‘ইংরেজি ভাষা শিক্ষা কোর্স’ সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এলএল.বি কোর্সের শেষবর্ষে অধ্যয়নরত আছেন।
২০০৮ সালে সাংবাদিকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল ‘মাই টিভি’র বার্তা বিভাগে রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অত:পর ২০১০ সালে ‘প্রবেশনারি অফিসার’ এবং ২০১২ সালে ‘সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার’ পদে যোগদান করেন আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডে। বর্তমানে তিনি ব্যাংকটির জামগড়া শাখায় ‘প্রিন্সিপাল অফিসার (ম্যানেজার অপারেশন) পদে কর্মরত আছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। স্ত্রী তামান্না মাহবুবা, কামিল (হাদীস)। তার রয়েছে দুই পুত্র সন্তান। কে. এম তানঈম হাসান রাফিদ (১০)। কে. এম তাসকীন হাসান রাকীন (৩)।
কর্মব্যস্ততার মাঝে নিত্যদিনের বেশিরভাগ সময় কাটে তার। এর মাঝে যেটুকু ফুরসত পান পুরোটাই গবেষণা, বই পড়া, লেখালেখি আর পরিবারকে নিয়ে কাটান। লেখালেখির প্রতি রয়েছে তার দুর্বার আকর্ষণ। তিনি নিয়মিত ইসলামী ভাবধারার ছড়া, কবিতা ও প্রবন্ধ লেখেন। তবে ইসলামী সাহিত্যের সকল শাখায় কাজ করার অদম্য ইচ্ছা রয়েছে তার। তিনি নিজে স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। ভালোবাসেন পাঠকদেরও স্বপ্ন দেখাতে। তার ২টি প্রবন্ধ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের গবেষণা পত্রিকায় এবং ১টি প্রবন্ধ কলা অনুষদের গবেষণা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। অন্যদিকে তার প্রকাশিত গ্রন্থগুলো হলো ইসলামী ভাবধারার ছন্দ কবিতার বই 'আকাঙ্ক্ষা' (২০২৩) ‘মুসাফির’ (২০২৩), ছোটোদের জন্য ইসলামী ভাবধারার ছড়ার বই ‘ইলমা’ (২০২৩) আল-কুরআনের ত্রিশতম পারার কাব্যরূপ 'ছন্দে ছন্দে কুরআন বুঝি’ (২০২৩) এবং প্রবন্ধ গ্রন্থ ‘ইসলামী ব্যাংকিং ভাবনা’ (২০২৩)।