জগতের নাথ বা পিতা যিনি, তিনিই প্রভু জগন্নাথ। তিনি আদি। তিনি অনন্ত। অন্যান্য ঠাকুরের মতো তাঁর বিসর্জন নেই। শুধু আছে এক কলেবর থেকে অন্য কলেবর ধারণ। যে-বছর আষাঢ় মাস মলমাস হিসেবে নির্ধারিত হয়, সে মাসেই প্রভু তাঁর পুরোনো শরীর ত্যাগ করে নতুন দেহে প্রবেশ করেন। নতুন এই কলেবর প্রস্তুত হয় শঙ্খ, চক্র, গদা, পদ্ম চিহ্নবিশিষ্ট দারুবৃক্ষ দিয়ে।
আবদুল হাসিব
সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলায় অবস্থিত; শ্রী চৈতন্যের অন্যতম পার্ষদ— শ্রীবাস পণ্ডিত, কবি বৃন্দাবন দাশ ঠাকুর, নাগরী পুথি সাহিত্যিক মুন্সী ইরফান আলি, শক্তিমান কবি ফজলুল হক এবং বর্তমান সরকারের। সফল মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও বিশিষ্ট লেখক নূরুল ইসলাম নাহিদ-এর জন্মস্থান কসবা গ্রামে কবি। আবদুল হাসিব-এর জন্ম। কসবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠগ্রহণ শেষে, বিয়ানীবাজার পঞ্চখণ্ড হরগােবিন্দ হাই স্কুলে ভর্তি হন। সেখান থেকে। এসএসসি পাশ করে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজেই স্নাতক (বাণিজ্য) পর্যন্ত তার লেখাপড়া। ছাত্রাবস্থায় ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন, ১৯৮০/৮১ সনে কলেজ ছাত্র-সংসদে সাংস্কৃতিক সম্পাদকের। দায়িত্বে নিয়ােজিত ছিলেন। ১৯৮৪/৮৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কলেজ শাখার কার্যকরী কমিটির সভাপতি ছিলেন। অতঃপর, তিন বছর সরকারি চাকরি শেষে ২৪ বছর বয়সে কানাডা প্রবাসী হয়েছেন। কবি আবদুল হাসিব ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রাবস্থায় ছড়া-কবিতা লেখা শুরু করেন। প্রধানতঃ কবিতা ও ছড়ার পাশাপাশি বাস্তব প্রতীতি নিয়ে নিরন্তর রচনা করে যাচ্ছেন প্রবন্ধ-নিবন্ধ, গল্প ও উপন্যাস। সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায়ও লিখছেন ছড়া ও কবিতা। একজন নিষ্ঠাবান। সাংবাদিক হিসাবেও উত্তর আমেরিকার কয়েকটি। পত্র-পত্রিকায় গুরুত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে। যাচ্ছেন।