ফ্ল্যাপে লেখা ছদ্মবেশী গুণিজন বইটি নিছক কল্পনা থেকে সৃষ্টি নয়। বইয়ের গল্পগুলোর সাথে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছি আমরা সকলেই। সময়ের সাথে সাথে আমাদের ব্যস্ততা বেড়েছে সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অমানবিকতাও। মানুষের সঙ্গে মনের সম্পর্ক ঠিক দেহের সাথে তাঁর আত্নার সম্পর্কের মতোই। মনকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে ব্যক্তির মানসিকতা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই যুগে দেশ যেখানে উন্নয়নের জোয়াড়ে ভেসে যাচ্ছে সেখানে মানসিকতার অবনতি কেন দিনকে দিন বেড়েই চলেছে? শিক্ষার হার তথা দৃশ্যমান এই উন্নতির সাথে কতটা সাদৃশ্য রয়েছে বর্তমান প্রজন্মের চিন্তা চেতনায়? ছদ্মবেশী গুণিজন বইটিতে অবহেলিত মানুষদের সাথে ঘটে চলা নানা অসংগতি গুলোই তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। আধুনিক এই সময়ের সাথে যা অত্যন্ত যুগপযোগী। বইটি পড়ে পাঠকের ভিতরে এক অন্যরকম ভালো-লাগা কাজ করবে। সেই সাথে পাঠকের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ও উন্নয়নেও ব্যাপক সহায়তা করবে বইটি। সময়ের প্রয়োজনে ছুটে চলে, ক্লান্ত যখন শব্দের স্রোতে ভেসে চলা নিয়ন্ত্রণহীন মন”। জুনায়েদ কবির শিহাব
জুনায়েদ কবির শিহাব
জুনায়েদ কবির শিহাব:- বিশ্বাস করেন সারাদিন মিটিং, মিছিল, টকশো, আলোচনা করে যা না হয়, তা
একটি বই দিয়ে হয়। একটি বই মানুষকে ভেতর থেকে পরিশুদ্ধ করে। সেই শুদ্ধতার জন্য লেখকরা যে
লড়াই শুরু করেছেন, সেখানে পাঠকদের সমভাবে অংশগ্রহণ ব্যতিত তা কেবলই যেন ছিপ হাতে ঘোলা
জলে মাছ ধরার মতো। তিনি বিশ্বাস করেন জাত, ধর্ম, জাতি, বর্ণের উর্দে মানুষ। সমাজের তথাকথিত
ভেদাভেদগুলো তাকে ভাবিয়ে তুলে। শ্রৈণি-বৈশম্যের বেড়াজাল থেকে নিজে সবসময়েই মুক্ত থাকতে
পছন্দ করেন। সেইসাথে অন্তত কিছু মানুষের মাঝে তার ভাবনাগুলো ছড়িয়ে দিতেই হাতে তুলে নিয়েছেন
কলম। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় নিজে হয়ে উঠেন একজন উদ্যোক্তা। প্রতিষ্ঠা করেন নলেজ
আইকন এবং এক্সপোর্ট বিডির মতো প্রতিষ্ঠান। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শেষে বর্তমানে তিনি নিজ
প্রতিষ্ঠানগুলোর দেখাশুনা করছেন। তার জন্ম ১৯৯৬ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারী। তিনি ময়মনসিংহ
জেলার, গফরগাঁও থানার, তেরশ্রী নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। স্কুল জীবন থেকেই তার লেখালেখিতে
হাতে-খড়ি হয়। বিভিন্ন পত্রিকা এবং ম্যাগাজিনগুলোতে তিনি নিয়মিতই লিখে গিয়েছেন। সমকালীন
বাস্তবতাগুলো তার লেখায় দারুণভাবে ফুটে উঠে। “ছদ্মবেশী গুণিজন” নামক সমকালীন গল্প দিয়ে তার
লেখক জীবনের পথচলা শুরু হয়। বইটি পাঠকমহলে ব্যাপক সমাদৃত হয়। বইটি নিয়ে দেশের বরেণ্য
ব্যক্তি-বর্গরাও করেছেন লেখকের ভূয়সী প্রশংসা। জীবন তাকে যন্ত্র বানিয়েছে ঠিকই তবে তার জীবনে
ঘটে যাওয়া নানা ঘাত-প্রতিঘাতগুলো তাকে করেছে বেশ পরিণত। তিনি শুদ্ধতার জন্য লেখেন। তিনি
পরিবর্তনের জন্য লেখেন। আজন্মকাল মানুষের ভালোবাসায় বেঁচে থাকায়, তার জীবনের একমাত্র ব্রত।