‘পাথুরে পুথিতে’ পুরা জীব বিজ্ঞানীরা চারটি অধ্যায় পাঠ করেছেন। প্রথম অধ্যায়-‘উপরি’ অধ্যায়। সেখান থেকে তাঁরা জানতে পারলেন নতুন জীবনপর্বের কথা, যখন পৃথিবীতে এমন সমস্ত জন্তুজানোয়ারের আবির্ভাব ঘটে যাদের বাচ্চারা মায়ের দুধ খেয়ে জীবন ধারণ করত। আজ যেসব জন্তু বেঁচে আছে তারা ছিল তাদের মতো।
এরই সামান্য নিচে দ্বিতীয় অধ্যায়। এই অধ্যায় বিজ্ঞানীদের জানালো মধ্য জীবনপর্বের তথ্য, যখন পৃথিবীতে ছিল অতিকায় গিরগিটিদের রাজত্ব।
আরও নিচে তৃতীয় অধ্যায়ে পুরাজীববিজ্ঞানীরা পড়লেন প্রাচীন জীবনপর্বের কাহিনি, যখন পৃথিবীতে কোনো পশুপাখিই ছিল না, ছিল কেবল বিশাল বিশাল ব্যাঙ, মাছ আর সামুদ্রিক কাঁকড়া-বিছে।
সবচেয়ে নিচের, চতুর্থ অধ্যায় থেকে বিজ্ঞানীরা জানতে পারলেন আদি জীবনপর্বের কাহিনি। পৃথিবী তখনও ছিল ফাঁকা, আর সমুদ্রে বাস করত এমন সমস্ত ছোট ছোট স্বচ্ছ জীব যাদের খালি চোখে প্রায় দেখাই যায় না।
এই বইতে সেই একই ভাবে পরতে পরতে তোমাদের সামনে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে জন্তুজানোয়ার, গিরগিটি, পাখি আর গাছপালাদের, পরপর যেমন ভাবে তাদের বিবরণ পাওয়া গেছে ‘পাথুরে পুথিতে’। আজকালের মতো দেখতে যে-সমস্ত জন্তুজানোয়ার এই কিছুকাল আগেও ছিল, তাদের সচিত্র কথা আছে শুরুতে, প্রাচীনতম জীবজন্তু আর গাছপালা আছে শেষে।