বারবারা প্রতিষ্ঠিত একজন সাংবাদিক হয়ে ওঠার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছে । নাম করা সাংবাদিক হতে হলে বারবারার একটি রসালো , গালভরা গল্প দরকার । তাই সে খুব বুদ্ধি করে পুরনো স্টার অভিনেত্রী মার্গারেট রেইনল্ডের ঘরে যায় । বারবারা ভেবেছিলো এক কালের এই দূর্দান্ত সুন্দরী অভিনেত্রীর অজানা জীবন সম্পর্কে জানিয়ে সে সবাইকে চমকে দিবে। কিন্তু মার্গারেটের বাড়িটা কেমন অদ্ভুত । কেন একজন নামকরা অভিনেত্রী এই ভূতুড়ে বাড়ি আগলে আছে ? কি বা কারা থাকে এই বাড়িতে ?
মাঝরাতে পিয়ানোর টুংটাং …ওপরের কোন রুমে সজোরে দরজা বন্ধ হবার শব্দ , আবার কখনো কখনো সারা বাড়ি ময় কে যেন ছুটে চলেছে ।
জানলার ওপাশে তাকাতেই বারবারা দেখতে পেলো তুষারে দুই জোড়া পায়ের ছাপ। একটি বড় আর একটি ছোট । ওই ছোট পায়ের ছাপটি কার? এ কয়দিনে তো ঘরে কোন বাচ্চা দেখেনি সে । তবে কি মার্গারেট বাচ্চার জন্ম দিয়েছিলো এবং সে অসুস্থ হওয়ায় লোকচক্ষুর আড়ালে তাঁকে লুকিয়ে রেখেছে ?
ফায়ারপ্লেসের আলোয় বিশাল রান্নাঘর টায় চলছে আলো ছায়ার খেলা। হঠাত ই মনে হলো বাইরে থেকে জানলায় টোকা দিলো কেউ ।
বারবারা দুচোখের পাতা এক করতে পারে না। রাতে যেন এই বাড়িটা জেগে ওঠে ।
ধীরে ধীরে বারবারা মার্গারেটের লুকানো অতীত , বিশ্বাসঘাতকতা আর অদ্ভূত প্রতিজ্ঞার কথা জানলো, কোন সুস্থ মানুষ এসব বিশ্বাস করবে না ।
এই ভয়ংকর বাড়ি থেকে বারবারার বেরিয়ে যাওয়াটা খুব জরুরী ?