‘ছায়াকারবালা’য় কবি হাসান রোবায়েত বৈষ্ণবভাব এবং কারবালার করুণ ইতিহাসের যুগপৎ প্রবাহ এমনভাবে মিশিয়ে দিয়েছেন যা বাংলা কবিতায় আগে কখনো ঘটে নি। তিনি পুঁথি ও মৈমনসিংহগীতিকার সুরে তৈরি করেছেন বাংলা কবিতার এক আশ্চর্য টেক্সট যেখানে ইতিহাস এবং সমকালীনতা হাত ধরে হেঁটে গেছে আবহ সংগীতের মতো। আশ্চর্য মুনশিয়ানায়, কারবালা-প্রান্তরে হোসেনের মৃত্যুবিলাপের সঙ্গে তিনি মিলিয়ে দিয়েছেন বিরহবিধুর রাধার যন্ত্রণাকে। বৃন্দাবন আর কারবালা, এক বিচিত্র জাদুবাস্তবতায়, কেবলই নিজেদের জায়গা বদল করে এই বইয়ের ভেতর। এবং, এক চিরস্থায়ী যন্ত্রণার সুর—যা কখনও মৃত্যুর, আবার কখনও বা বিরহদীর্ণ প্রেমের—ঘুরতে থাকে হাওয়ায়। শুধু কারবালা এবং রাধা-কৃষ্ণের কথাই নয়, সমকালীন রাজনীতি, সীমান্ত ও তিস্তার মৃত্যুর কথাও তুলে ধরেছেন ‘ছায়াকারবালা’-তে।