তালেব সরকার বাড়িতে এসেছে। আমেনা সরকার সকালবেলা চলে গেছে দারোয়ানকে জানিয়ে। তালেব সরকার বাড়িতে ঢুকতেই দারোয়ান চিঠি বুঝিয়ে দিয়েছে। কুকুর তিনটা আজ গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়নি। দূর থেকে মায়া চোখে তালেব সরকারের দিকে তাকিয়ে ছিলো। কোনো শব্দ করেনি। তালেব সরকার দারোয়ানের কাছে চিঠি পেয়ে অনেক রাগ হয়েছে। সে চলে যাবে ভালো কথা চিঠি কেন দিয়ে গেল দারোয়ানের হাতে। তালেব সরকার চিঠি খুললো। চিঠিতে কয়েক লাইনে লেখা —
আপনার জন্য অনেক মায়া হচ্ছে। নিজেকে অনেক কপাল পোড়াও মনে হচ্ছে। সামান্য একটা সন্তানের জন্য আমায় আপনি কত না কষ্ট দিলেন। শেষমেশ ডিভোর্স। আমি মেনে নিলাম।
আমি মা হতে পারবো না কোনদিন এ নিয়ে একটুও ভাবনা আসেনি। শুধু ভেবেছি, আপনাকে ভালোবেসে এ জনম কাটিয়ে দিতে পারলেই সুখ। তা আর হলো কই —
"একটা সামান্য সন্তানের জন্য আপনি আমায় আপনাকে ভালোবাসতে দিলেন না তালেব সাহেব।"
আবদুল্লাহ আল মামুন (কাইকর)
পৃথিবীর কষ্ট বোঝার জন্য লেখকদের সংগ্রামের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। আগুনে পুড়ে,পুড়ে পরিণত হয়েই একজন লেখক মানুষের অনুভূতিগুলোতে আটকে দিতে পারে শব্দের বুননে। দুঃখই লেখকের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণার জায়গা। নবীন লেখক আব্দুল্লাহ আল মামুনের কষ্টের সাথে সুসম্পর্ক। জীবনের চোরা গলিতে ছুটতে ছুটতে কালো আর আলোকে চেনা সহজ হয়ে উঠেছে তার জন্য। নাটকের চিত্রনাট্য লিখে আর প্রধান সহকারী পরিচালক হিসেবে এর মাঝেই পরিচিত হয়ে উঠেছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন।