ভূমিকা লেখাটি চ্যাপলিনে জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে লিভেছিলাম ১৯৮৯ সালে । ছাপা হয়েছিলো চট্রগাম থেকে প্রকাশিত শিল্পসাহিত্য বিষয়ক পত্রিকা ‘প্রসঙ্গ’তে। কৈশরিক চাপল্য নিয়ে যে চ্যাপলিনকে নেহাতই একজন মজাদার কৌতুক অভিনেতা হিসেবে জানতাম, তারুণ্যে তাকে আবিষ্কার করেছিলাম কেন চ্যাপলিনকে জাঁ লুক গদার তুলনা করেছিলেন নিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির সঙ্গে, আইজেনস্টাইন আরিস্তোফিনিসের সঙ্গে আর বুদ্ধবেদ বসু শেক্সপিয়রের সঙ্গে । আমার চ্যাপলিন আবিষ্কারের সেই মুগ্ধতাই ছড়িয়ে আছে দীর্ঘদিন আগের এই লেখাটিতে । কিন্তু চ্যাপলিন পুরনো হবার নয়। লেখাটি এখনও প্রাসঙ্গিক বলে মনে করি। নতুন করে লেখাটিকে বই আকারে প্রকাশের উদ্যোগ নেবার জন্য জনান্তিকের সাম্য আহমেদকে ধন্যবাদ জানাই । চমৎকার চ্যাপলিন নিরন্তর আমাদের সবার আগ্রহ এবং অধ্যয়নের বিষয় হোক।
শাহাদুজ্জামান
ব্যতিক্রমী এবং নিরীক্ষাধর্মী গ্রন্থ রচনার মধ্য দিয়ে শাহাদুজ্জামান মননশীল বাংলা কথাসাহিত্যে তাঁর অনিবার্য অবস্থানটি ইতিমধ্যে নিশ্চিত করেছেন। গল্প, উপন্যাস ছাড়াও প্রবন্ধ, গবেষণা, ভ্রমণ এবং অনুবাদ সাহিত্যেও রয়েছে তাঁর উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ।
শাহাদুজ্জামান পড়াশােনা করেছেন মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে। পরবর্তীকালে তিনি নেদারল্যান্ডস-এর আমস্টার্ডাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন চিকিৎসা নৃবিজ্ঞানে। পেশাগতভাবে তিনি ডাক্তার হিসেবে কাজ করেছেন উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক-এর গ্রামীণ স্বাস্থ্য প্রকল্পে, পরে অধ্যাপনা করেছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব পাবলিক হেলথ’এ। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যের গ্লাসগাে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা এবং অধ্যাপনায় যুক্ত আছেন। শাহাদুজ্জামানের জন্ম ১৯৬০ সালে ঢাকায়।