মেলবর্নের বাসিন্দা সাদ দেশে গিয়ে মায়ের পছন্দে বিয়ে করে নিয়ে আসে নিশাকে। সংসার করতে থাকে তীব্র মায়ায়, সুতীব্র ভালােবাসায়। অল্প কমাসের পরিচয় যেন মনে হতে থাকে জন্ম-জন্মান্তরের। কিন্তু ধীরে ধীরে পাল্টাতে থাকে নিশা। পরিণত হতে থাকে দুর্বোধ্য, অপরিচিত এক রমণীতে। ভরা পূর্ণিমার রাতগুলােতে রূপান্তরিত হয় নেকড়েতে। কিচ্ছু টের পায় সাদ, কুঁদ হয়ে থাকে নিশার ভালােবাসায়। পরিশেষে মায়াবিনী সাদের সামনে রূপান্তরিত হয় এক রাজকীয় নেকড়েতে, সাদকে সর্বস্বান্ত করে দিয়ে নিশাবিহীন এ পাহাড়সম জীবন কী সাদ একা পার করে দেবে নাকি ফিরে আসবে নিশা তার আজন্ম ভালােবাসার কাছে? নাকি সাদও বেছে নিবে মায়ানেকড়ের এই অপার্থিব জীবন? চন্দ্রাহত যতটুকু অতিপ্রাকৃত গল্প, তার চেয়ে অনেক বেশি প্রেমের গল্প, মায়ার গল্প। জীবনের ছােটো ছােটো জাদুর মুহূর্তের গল্প, দুজন মানুষের সবকিছু হারানাের গল্প। এ গল্প বলে ‘ভালােবাসা তেমন সহজ কিছু না, মাঝেমধ্যে ভালােবাসা এক অসীম, অপার শূন্যতাও, যে শূন্যতা মেনে নেওয়া যায় না, যে শূন্যতা বাঁচতে দেয় না।
ফারাহ জাবীন
ফারাহ জাবীন আশির দশকে ঢাকায়। জন্মগ্রহণ করেন, ঢাকাতেই তার বেড়ে ওঠা। বিজ্ঞান বিভাগে ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ থেকে এসএসসি এবং এইচএসসি শেষ করে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসন এ বিবিএ এবং পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনায় এমবিএ শেষ করেন। বই পড়তে ও গান শুনতে বিশেষ পছন্দ করেন, ভ্রমণেও তার তীব্র আকর্ষণ রয়েছে। মেলবর্নে স্বামী এবং দুইকন্যা সামায়রা ও নূমায়রাকে নিয়ে পাহাড়ের কাছাকাছি বাস করেন, ঝিরিঝিরি বৃষ্টি আর জোড়া রংধনু দেখে দিন কাটে তার। চন্দ্রাহত তার দ্বিতীয় উপন্যাস, তার প্রথম উপন্যাসের নাম অভিশপ্ত বাড়ির সেই ব্যাকইয়ার্ডটি, যা একটি ভৌতিক ঘরানার লেখা। তার প্রিয় লেখক হলেন হুমায়ুন আহমেদ, সত্যজিৎ রায়, রােয়াল্ড ডাল এবং সিডনি শেল্ডন।