চন্দ্রবিন্দুর বিসর্গ! নামটা কোথাও একটা অবসানের ইঙ্গিত করে। বইটিতে বাস্তবতার নানা দিক খুব সুন্দরভাবে সজ্জিত আছে। হয়তো বাস্তবতার কালো রাত্রির অবসান ঘটিয়ে লেখক ঝলমলে দিনের ইশারা দিয়েছেন তাঁর লেখনীতে। তাই এই নামকরণ। এই বই এর প্রতিটা গল্পই বাস্তব জীবনে শিক্ষা নেওয়ার মতো। তাই তরুণ সমাজের জন্য এই বইটিকে আমি দিশারি বলে মনে করি।
সমাজকে বইটি কিভাবে উপকৃত করবে?
- নানা মানুষের জীবনে ঘটে যাওয়া বাস্তব ঘটনা গুলোর বিন্যাস নিয়েই একেকটি গল্প নির্মিত। তাই এই বই থেকে প্রত্যেকটা মানুষেই নিজের জীবন/ আশপাশের মানুষের জীবনের সাথে মিল খুঁজে পাবে।
-বর্তমান সময়ে পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন, বিভিন্ন সমস্যা, তার থেকে উত্তরণের পথ পাওয়া যাবে এই বইতে।
- বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ডাক্তারদের বাস্তব সামাজিক অবস্থান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে এই বইতে। ও তার ভালো-খারাপ দিক গুলোর পেছনে কারণগুলোও জানা যাবে।
- অসুস্থ প্রতিযোগিতার মধ্যে বেড়ে ওঠার কুফল (যা দুর্নীতির মূল স্রষ্টা), তার থেকে উত্তরণের উপায় পাওয়া যাবে এই বইতে।
- তরুণ বয়সে লালিত স্বপ্ন, তা বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ, আশা-হতাশার মিশ্রণে যে বাস্তব জীবন গড়ে উঠে, তা চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
- এই গল্পে আছে কৈশোর- যৌবনের প্রেম, বিরহ, সাফল্য-ব্যর্থতা, স্বপ্ন দেখা, স্বপ্ন ভঙ্গের হতাশা, তা থেকে পরিত্রাণের উপায়, সব মিলে কি নেই এই বইতে!
যারা কৈশোরের গন্ডি পেরিয়ে সদ্য বাস্তব জীবনে পদার্পণ করেছেন, তাদের জন্য আদর্শ বই এটি। এই বয়সের মানুষের জীবনের বাস্তব ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে এই বইতে, ছদ্মনামের আড়ালে।
যারা সংসার জীবনে পা রেখেছেন সদ্য, বা বহু বছর পরিবার চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের জীবনের সংকট ও তার থেকে পরিত্রাণের পথ দেখানো হয়েছে এই বইতে।
এই বইতে কোথাও না কোথাও পাঠকরা তাঁদের নিজেদেরকে খুঁজে পাবেন, তিনি যে বয়সেরই হোক না কেন। তাই প্রগতিশীল দেশে, বিভিন্ন বয়সের গতিরোধক বিষয়গুলো চিহ্নিত করে, তা থেকে ভালো কিছু জন্ম দেওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী কাজ, যা এই বইতে চমৎকার ভাবে বর্ণিত আছে। তাই সকলের প্রতি আহবান, বইটা একবার হলেও পড়বেন, জীবনের কিছু অংশ বদলেও যেতে পারে!