আফ্রিকার গভীর অরণ্যে গল্পের চরিত্রগুলোর সাথে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটবে আপনার মন ও মস্তিষ্ক। আপনিও যেন চোখের সামনে দেখতে পাবেন অদ্ভুত মায়াময় প্রকৃতি, জোছনার সৌন্দর্য, আফ্রিকান সিংহের পৈচাশিকতা, জঙ্গলের গহিনতা, আগ্নেয়গিরির তাণ্ডব, রাত দুপুরে আফ্রিকান পশুগুলোর হিংস্রতা, মৃত্যুর মতো ভয়ংকর মরুভূমি, আর অদম্য দুই চরিত্রের জীবনে হার না মানার গল্প।
"চাঁদের পাহাড়' প্রখ্যাত সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি বাংলা রোমাঞ্চকর উপন্যাস। ১৯৩৭ সালে গ্রন্থাকারে বের হওয়া এই উপন্যাসটি শঙ্কর নামক ভারতবর্ষের সাধারণ এক তরুণের আফ্রিকা মহাদেশ জয় করার কাহিনি। বাংলা ভাষার অন্যতম জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ রোমাঞ্চকর উপন্যাস এটি। বিভূতিভূষণ উপন্যাসটির ভূমিকায় নিয়েছিলেন, "চাঁদের পাহাড় কোনো ইংরেজি উপন্যাসের অনুবাদ নয় কিংবা ওই শ্রেণির কোনো বিদেশি গল্পের ছায়া অবলম্বনেও লেখা হয়নি। এই বইয়ের গল্প ও চরিত্র আমার কল্পনাপ্রসূত'।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১২ই সেপ্টেম্বর, ১৮৯৪ - ১লা সেপ্টেম্বর,১৯৫০) ছিলেন একজন জনপ্রিয় ভারতীয়বাঙালি কথাসাহিত্যিক। তিনি মূলত উপন্যাস ও ছোটগল্প লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। পথের পাঁচালী ও অপরাজিত তাঁর সবচেয়ে বেশি পরিচিত উপন্যাস। অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে আরণ্যক, আদর্শ হিন্দু হোটেল, ইছামতী ও অশনি সংকেত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। উপন্যাসের পাশাপাশি বিভূতিভূষণ প্রায় ২০টি গল্পগ্রন্থ, কয়েকটি কিশোরপাঠ্য উপন্যাস ও কয়েকটি ভ্রমণকাহিনী এবং দিনলিপিও রচনা করেন। বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালী উপন্যাস অবলম্বনে সত্যজিৎ রায়পরিচালিত চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন। ১৯৫১ সালে ইছামতী উপন্যাসের জন্য বিভূতিভূষণ পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার রবীন্দ্র পুরস্কার (মরণোত্তর) লাভ করেন।