সপ্তর্ষির ঐশী,
মনে পড়ে? আমাদের দুজনের একবার একসঙ্গে তারা দেখার সুযোগ হয়েছিল। তখন মনে হয়েছিল, তারা যেমন সব সময় পাশে থাকে, ঠিক তেমনি, তুমিও আজীবন পাশে রবে। আজ একা দাঁড়িয়ে দেখি, তারা পাশে আছে ঠিকই, কিন্তু তুমি পাশে নেই!
আমাদের ভালোবাসাটা যেন ছায়ার মতো। নিজের ছায়াকে ধরতে গেলেই দূরে সরে যায়, আবার ছেড়ে এলে পিছু নেয়। এই যে দেখো, এবার কেন যেন মনে হলো তোমায় কাছে পাব; কিন্তু হলো এর উল্টোটা। তুমি ধীরে ধীরে দূরে সরে যাচ্ছ!
ঐশী জানো? যখন তোমাকে ভাবছি, ঠিক তখনই দূর থেকে আসা সুগন্ধি হাওয়া আমাকে স্পর্শ করল। আমার এলোমেলো চুলগুলো আরও এলোমেলো করে দিল। মনে হচ্ছে যেন এ হাওয়া নিশ্চয়ই তোমাকে স্পর্শ করে এসেছে। নইলে এ রকম সুগন্ধ তো আমি শুধু তোমার কাছেই পেয়েছিলাম!
তুমি শুনে খুশি হবে, তোমার এই অবর্তমানে আমি একটা সাথি বানিয়েছি। আর তা হলো, আকাশের ধ্রুবতারা। এই তারাটি আকাশের সপ্তর্ষির পাশেই থাকে। এতক্ষণ এই তারাটির সঙ্গেই আমার জমে থাকা কথাগুলো বললাম। ও মন দিয়ে শুনল। তুমি হয়তো আছ পৃথিবীর কোনো এক প্রান্তে। যেখানে আমি তোমাকে দেখতে না পেলেও আমার ধ্রুবতারা ঠিকই ওপর থেকে আমাদের দুজনকেই দেখতে পাচ্ছে। আমাদের মাঝে অন্তত একটা মিল তো আছেই। হাজার হোক তুমি আর আমি তো এক আকাশের নিচেই আছি!
আজ আকাশের ওই ধ্রুবতারাকে আমার উপস্থিতির সাক্ষী বানালাম! তুমি ভালো থেকো ধ্রুবতারার ওপাশে। ঈশ্বরের সযত্ন আমানতে তোমাকে রেখে দিলাম!
ইতি
কালপুরুষ!