কিন্তু হঠাৎ মনে হলো তার পায়ের উপর দিয়ে কিছু িএকটা যে দৌড়ে পালাল। রাতুল ফিরে দেখে একটা সাদা খলগোশ লাফাতে লাফাতে যাচ্ছে। রাতুলের চোখমুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল। সে এক ঝটকায় হাত ছাড়িয়ে নিয়ে উবু হলে খরগোশের পেছন পেছন গেল। কিন্তু একটু সামনে গিয়েই আর দেখতে পেল না খরগোশটাকে। ওটা যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। রাতুল কিছক্ষণ এদিক-ওদিক খুঁজে হাল ছেড়ে দিল। তারপর সোজা হয়ে ঘুরতে যাবে তখনই ওর চেখ পড়ল হলুদ রঙের কিছু একটার ওপর। চা ঘাছের ফাঁক-ফোকর দিয়ে এগোচ্ছে ওটা। উঁকি দিয়ে রাতুল যা দেখল তাতে সে জমে গেল পাথরের মতো। গাছের আড়াল থেকে আস্তে আস্তে বের হয়ে এলো হলুদ একটা বাঘ ! রাতুল চিৎকার করতে গিয়ে দেখল ওর গলা দিয়ে স্বর বের হচ্ছে না। বাঘটা এদিকে এগিয়ে আসছে। রাতুল ঢোক গিলল। চা-বাগানে বাঘ আসবে কেমন করে? আচ্ছা, এটাই চিড়িয়াখানার সেই পলাতক বাঘটা নয়তো?