ক্ষমতার দ্বন্দ্বে উত্তাল হয়ে উঠেছে সূর্যস্নাত সীমান্ত-শহর কাসা দিয়াবলো। লালসা আর উচ্চাকাঙ্ক্ষার ঝান্ডার নিচে একজোট হয়েছে শহরের মেয়র আর রেলরোড কোম্পানির মালিকগোষ্ঠী। প্রতি ইঞ্চি জমি গিলে খেতে চায় তারা; শহরের প্রতি পরতে যেন মিশে আছে রক্ত আর বিশ্বাসঘাতকতার এক নির্দয় আখ্যান।
এ সময় শহরে আসে এক তরুণ, কিছুদিন পরে আরও ক'জন। গৃহযুদ্ধের আগুনে পুড়ে তারা যেন সকলেই খাঁটি সোনা, অভিন্নহৃদয় বন্ধু। স্বাধীন জীবনের স্বপ্ন আবার জাগিয়ে তোলে তারা, এক হয় শহরবাসী। মেয়র আর রেলরোড কোম্পানির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় সবাই। ঘোড়ার খুরের বজ্রনিনাদ আর বারুদের নির্ঘোষে কাসা দিয়াবলোর শান্ত রাস্তা হয়ে ওঠে রণক্ষেত্র। নিউ মেক্সিকোর রোদে পোড়া মরুভূমির বুকে রচিত হয় ন্যায়, পাপমোচন আর বন্ধুত্বের এক অনন্য গাথা।
কাসা দিয়াবলোর প্রতিটি ধূলিকণাই যেন লিখে দিয়েছে স্বাধীনতার এই অনবদ্য উপন্যাস।
ফাহাদ আল আব্দুল্লাহ
ফাহাদ আল আবদুল্লাহর বেড়ে ওঠা ঢাকায়। এই শহরের আলো আঁধারি, নিয়ন আলো থেকে হালের এলইডি রাঙা রাস্তা সবটাই তার চেনা। লেখাতেও সেই ছাপ স্পষ্ট। মৌলিক রচনার আগে অনুবাদে হাত পাকিয়েছেন। ‘শহর’ লেখার আগে ‘১০০০ গজ’ নামে মার্ক ডওসনের ‘ওয়ান থাউজ্যান্ড ইয়ার্ডস’ নামের স্পাই থ্রিলারের অনুবাদ বাজারে আছে। পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, নৃবিজ্ঞান নিয়ে। পেশায় শিক্ষক।