মায়ামি বীচ জলাধারের কাছেই বিশাল এক ম্যানশন। লোকে বলে ওটা নাকি পাবলো এসকোবার তার পরিবারের জন্য তৈরি করে গিয়েছিল। বছরের পর বছর ধরে নিষ্ঠুর লোকেরা বাড়িটার ওপর চোখ দিয়ে আসছে। আর দেবে না-ই বা কেন? পঁচিশ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের স্বর্ণ ওখানে লুকিয়ে রাখা আছে। হ্যান্স-পিটার শ্নাইডারও এবার এদিকেই এসেছে। ধনী লোকেদের নৃশংস কল্পনা চরিতার্থ করে পেট চালায় সে। নিজের কার্য সমাধা করার জন্য বদ্ধপরিকর।
নিজভূম থেকে নানা ঘাত-প্রতিঘাত সয়ে ক্যারি মোরা পালিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রে। পশু-পাখির সেবা করার মাঝেই অনাবিল আনন্দ খুঁজে পায় সে। তবুও একলা ঘরে ফিরে গিয়ে তার মনটাও একটু খারাপ হয় বৈকি। বিশাল এই ম্যানশনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত আছে মেয়েটা। বেঁচে থাকবার জন্য নানা ধরনের কাজ করে সে। সুন্দরী, যুদ্ধের ক্ষত বয়ে চলা ক্যারি দেখতে পেল হ্যান্সকে। লোকটা তার বিশাল পাঞ্জা তুলে এগিয়ে আসছে গুপ্তধন উদ্ধারের জন্য। তবে ক্যারির অসামান্য দক্ষতা আর বেঁচে থাকার তাগিদের পরীক্ষা এর আগেও নেয়া হয়েছে বহুবার। দেখা যাক এই যুদ্ধে কে হারে, কে জেতে!
পুরুষের আকাঙ্ক্ষা আর নারীর বেঁচে থাকার তাগিদ, এই দুইয়ের চেয়ে বড় কোনো দানব বোধহয় আর নেই। টমাস হ্যারিসের মতো আর কোন লেখক এই দানবীয় আখ্যান চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছে? আমেরিকান থ্রিলার মাস্টার বহুদিন পর হাজির হয়েছেন তার ষষ্ঠ উপন্যাস ক্যারি মোরা নিয়ে। আপনি আমন্ত্রিত!