"চাঁদের হাটে জোছনা বেচি" কাব্যগ্রন্থের ফ্ল্যাপ লিখেছেন শ্রদ্ধেয় মাজেদ মাহতাব ভাই। সাহিত্য হলো অসীম সৌন্দর্য-সন্ধান। স্বপ্ন-কল্পনা ও অপার ভুবনের বিস্ময়কে বহুবর্ণিল শিল্প-সুষমায় পরিবেশনই সাহিত্য। 'চাঁদের হাটে জোছনা বেচি' তারই এক সুন্দর স্বপ্ন-সৃজন প্রকল্প। শিশুর সারল্য ও জিজ্ঞাসার জবাব খোঁজা হয়েছে এ নান্দনিক শিল্পকর্মে। যাপিত জীবনের বিবিধ সারসত্য শিশুর মতো শুদ্ধ হলেই অনুধাবন করা যায়। শুধু চাঁদের হাট বসিয়ে জোছনা বিক্রি করায় অনন্ত আনন্দ আছে, কিন্তু তা বাস্তবতা পরিপন্থী। তাই দেখি এর প্রতিটি কবিতাই উচ্চারিত-উৎসারিত হয়েছে কবির অনন্য জীবনবোধ ও অভিজ্ঞতা থেকে। এজন্য এ কাব্যে নির্মল হাস্যরসের পাশাপাশি পাই সামাজিক সমস্যা, ধর্মব্যবসা, অপরাজনীতি এরূপ বিষয়ের প্রতি বিদ্রুপের বাণ ও সময়- সমালোচনা। মাসুম আলী মূলত জীবন-পরিব্রাজক। জীবনের সুলুক-সন্ধান করতে গিয়ে তিনি সময় ও সমাজকে কবিতায় ধরেছেন সার্থকতার সঙ্গে। ধান্দা ও দুর্নীতির দুর্গে আঘাত করে ভণ্ডামীর মুখোশ উন্মোচন করেছেন কিছু কাহিনী-কবিতায়। একইসঙ্গে স্বপ্নবান এবং বাস্তববাদী চিন্তা-চেতনায় বেড়ে ওঠা শিশু- কিশোর-তরুণদের জন্য এ বই অবশ্যপাঠ্য। মাজেদ মাহতাব প্রাবন্ধিক, শিক্ষক (বাংলা) মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, ঢাকা।