এই বইয়ে আমার কো-অথর হিসেবে রয়েছে আমার পরম মিত্র এবং একই সঙ্গে আমার কঠিনতম সমালােচক গৌতম ভট্টাচার্য। | আমার জীবনের এমন কিছু সময়ে গৌতমকে আমি সাংবাদিকের পাশাপাশি আমার বন্ধু হিসেবে পেয়েছি, যা থেকে একটা অগাধ আস্থা রয়েছে একে অপরের প্রতি। আমার অনেক ভালনারেবল সময়েও গােপন কথা গৌতম লেখেনি। সেই আস্থা থেকেই বােধহয় গৌতমের ডিক্টফোনের সামনে অকপটে সব কিছু বলতে আমি দ্বিধা করিনি।
আমাকে অনেকে জিজ্ঞেস করেছে বইয়ের টাইটেল বুম্বা, শট রেডি’ কেন রাখলাম? | আজ থেকে বহু বছর আগে ডান্স রিহার্সালের সময় আমাকে ডান্স ডিরেক্টররা বলতেন, “বুম্বাদা আপনি গিয়ে বসুন,শট রেডি হলে আমরা আপনাকে ডাকছি।” সেই সময় থেকেই ভ্যানিটি ভ্যানে বসে বসে আমি ভাবতাম, এটাই তাে একজন অভিনেতার মৃত্যুর শেষ মুহূর্ত। সেরা মুহূর্ত!
যেখানে সবাই এসে বলছে, “বুম্বা, শট রেডি।” কিন্তু আমি আর নেই। দ্যাট ইজ দ্য লাকিয়েস্ট ডেথ। | “বুম্বা..শট রেডি.” আমি উঠছি না।
গৌতম ভট্টাচার্য
গৌতম ভট্টাচার্য তার সাংবাদিক জীবনের প্রথম। এগারো বছর দেশবিদেশের ক্রিকেটমাঠে। কাটালেও ঘটনাচক্রে, আনন্দবাজার পত্রিকার বিনােদন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত হন সেই ১৯৯৫-তে। এর বছরখানেক আগে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার আলাপ, ঘনিষ্ঠতা এবং সেই থেকে প্রগাঢ় বন্ধুত্ব। গৌতম আপাতত সংবাদ প্রতিদিন’-য়ের যুগ্ন সম্পাদক পদে।