সাধনা আহমেদের জন্ম ২৫শে জুন ১৯৭১। একাধারে সংস্কৃতিকর্মী, কবি ও নাটককার নিবাস রাজধানী ঢাকায় । শৈশবে ভৈরব-কিশােরগঞ্জে খেলাঘর আসরের মধ্য দিয়ে তার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের শুরু । পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্রোত আবৃত্তি সংসদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আবৃত্তিচর্চা। গত শতকের আশির দশকে আবৃত্তির মাধ্যমে স্বৈরাচারবিরােধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ। এরপর নিজ শহর ভৈরবে সমমনাদের নিয়ে স্পর্শ আবৃত্তি পরিষদ-এর প্রতিষ্ঠা। নব্বইয়ের দশকে থিয়েটার আরামবাগ-এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিয়মিত মঞ্চাভিনয়। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আন্দোলনে অংশগ্রহণ যুক্ত হন। ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ কেন্দ্রের সঙ্গে। পাশাপাশি টেলিভিশন নাটক রচনা ও নির্দেশনা এবং বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণে নিয়মিত হন। পরে ঢাকা নাট্যনিকেতন নামের একটি নাটকের দলের কর্ণধার হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ এবং মঞ্চের জন্য নাটক রচনা শুরু। ২০১১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশতজন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভারত সরকারের। সংস্কৃতি মন্ত্রকের উদ্যোগে বাংলাদেশের দশজন এবং ভারতের। এগারােজন নাটককার নিয়ে শান্তিনিকেতনে অনুষ্ঠিত একটি কর্মশালায় অংশগ্রহণ। অংশগ্রহণকারী নাটককারদের দশটি প্রকাশযােগ্য নাটকের মধ্যে সাধনা আহমেদের ব্রাত্য আমি মন্ত্রহীন ছিল অন্যতম। বর্তমানে বাংলাদেশের মঞ্চে তার দমের। মাদার (নাট্যম রেপার্টরী), মাতুব্রিং (বিবর্তন যশাের) ও ফাগুন। শেষে (নাট্যতীর্থ) নাটক তিনটির নিয়মিত প্রদর্শনী চলছে। রবীন্দ্রনাথের সাতটি নারীচরিত্র নিয়ে রচিত সাধনার নাটক সপ্তপর্ণী ভারতের নাট্যদল রঙ্গকর্মীর প্রযােজনায় সেখানে মঞ্চস্থ। হচ্ছে। সাধনা আহমেদের দুটি নাটক (দমের মাদার ও মাতব্রিং) তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ।