বাংলায় সহজ করে ব্র্যান্ড মার্কেটিং এর বাস্তব ভিত্তিক লেখা 'ব্র্যান্ডিং এবং বাস্তবতা' বইটি; যা আফতাব মাহমুদ খুরশিদ তার নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে লিখেছেন। বইটির বিষয় নির্বাচনে তার যথেষ্ট প্রমাণ মিলে। নিঃসন্দেহে এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ, যা আগামী প্রজন্মের মার্কেটারদের পাথেয় হয়ে থাকবে। ব্যাবসায় নিমগ্ন উদ্যোক্তাদেরও ব্র্যান্ড মার্কেটিং - এর বিষয়গুলো জানতে সহজ হবে।
অধ্যাপক মোহাম্মদ এ মোমেন
পরিচালক, আইবিএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আফতাব মাহমুদ খুরশিদ 'ব্র্যান্ডিং' এর ধারণা এবং প্রোয়োগ নিয়ে কাজ করে আসছে গত পঁচিশ বছর ধরে। করপোরেট জগতে এই ধারণাকে বৃহত্তর আঙ্গিকে প্রসারের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান যে কারো থেকে কম নয়। তার চেয়ে বড় কথা, কর্মক্ষেত্রের বাইরে গিয়েও এ-বিষয়কে বাস্তবতার সাথে সম্পৃক্ত করে প্রচারণার করা একটি সাহসী পদক্ষেপ।আমি মনে করি 'ব্র্যান্ডিং এবং বাস্তবতা' বইটি অনেকের কাছে 'ব্র্যান্ডিং' বিষয়ের শিক্ষকের ভূমিকা পালন করবে, আর আমি আমার ক্লাসে এ বিষয়ে টেক্সট বই হিসেবে মনোনয়ন করবো।
আফসান চৌধুরী,
অধ্যাপক, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি
আফতাব মাহমুদ খুরশিদ এর মতো অভিজ্ঞ মার্কেটিয়ারের অভিজ্ঞতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। বাংলায় মার্কেটিং এর প্রায়োগিক বিষয়ের প্রসঙ্গ আসলেই প্রবর্তক হিসেবে তাঁর নাম চলে আসে। আমি নিশ্চিত যে এ বই থেকে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড মার্কেটিং অগ্রযাত্রার চিত্র পাওয়া যাবে। বাস্তব ভিত্তিক কিছু কেইস, গল্প জানতে সাহায্য করবে, পাঠকদের একজন সৃষ্টিশীল মার্কেটিয়ারের ভূমিকায় ভাবনার খোরাক যোগাবে।
সাজিদ মাহবুব
চীফ অপারেটিং অফিসার ও এক্সিকিউটিভ এডিটর
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম
আধুনিক অর্থনীতির সূত্র ও তত্ত্বসমূহ যার রচনা উদ্ভূত, সেই কার্ল মার্ক্সকে তাঁর পিতা একটা চিঠিতে বলেছিলেন- একজন লেখকের সামাজিক দায়িত্ব প্রচুর এবং কেবলমাত্র চিন্তা ও রচনাশৈলীর উৎকর্ষতায় নিজেকে অত্যন্ত উন্নত চিন্তার একজন লেখক মনে হলেই কেবল বই ছাপার ব্যাপারে ভাবা উচিত।
ব্র্যান্ড ও মার্কেটিং-এর কর্মযজ্ঞে যখন যুক্ত হই তখন সে বিষয়ে বাংলা ভাষায় বাংলাদেশের বাস্তবতা জেনে বুঝে লেখা বই খুঁজেছি, কিন্তু উল্লেখযোগ্য তেমন বই পাইনি। আফতাব মাহমুদ খুরশিদের লেখা পাণ্ডুলিপি পড়তে পড়তে মনে হলো এমন বই আসলে খুঁজছিলাম সে সময়ে।
আফতাব কার্ল মার্ক্সকে লেখা তাঁর পিতার চিঠিটি হয়তো পড়েননি কিন্তু কাজটি করেছেন।