অর্থনীতি, রাজনীতি, সাহিত্য ও সংস্কৃতি, বাণিজ্য ইত্যাদি বিষয়ক কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করার জন্য মানুষকে নিরন্তর লেখাপড়ার নিবিড় সান্নিধ্যে থাকতে হয়। সমাজের সকল স্তরের অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন মানুষকে কমবেশি বর্ণের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেই হয়। বলা যায়, পৃথিবীর প্রায় ৭০০ কোটির অধিক মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরােক্ষভাবে বর্ণের সস্পর্শে রয়েছে।
বেশিরভাগ মানুষ জানেন যে পৃথিবীর সকল দেশের মানুষ এক বর্ণমালা ব্যবহার করে না। একই ধ্বনির মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে যােগাযােগ করে না। এমনকি একই বর্ণমালায় শিক্ষিত মানুষেরা আলাদা আলাদা আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। এক অঞ্চলের মানুষ অন্য অঞ্চলের ভাষা সহজে বুঝতে পারে না। এই সকল অধিকাংশ আঞ্চলিক ভাষার কোনাে বর্ণ নেই।
এক দেশের একই পতাকার নিচে বহু ভাষা ও সংস্কৃতির লােক বাস করে। বাংলাদেশের মুখ্য ভাষা বাংলা। কিন্তু এখানে মণিপুরী, সাঁওতাল, চাকমা, মুরুং, মার্মাসহ অন্যান্য ভাষার মানুষ বাস করে। তাদের ভাষার বর্ণের আদল স্বতন্ত্র। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষেরাও বাংলাভাষায় কথা বলে। ভারতের রাষ্ট্রীয় ভাষা হিন্দি। কিন্তু সেখানে তামিল, তেলেগু, কানাড়া, মালায়ালম, উর্দু, অসমিয়া, উড়িয়া সহ আরাে অনেক ভাষা চালু রয়েছে। পাকিস্তানে খুব কমসংখ্যক উর্দুভাষী হলেও সেখানকার রাষ্ট্রভাষা উর্দু। কিন্তু সেখানে বেশির ভাগ মানুষ পাঞ্জাবি, সিন্ধি ও পশতু ভাষায় কথা বলে। তবে এখানে কবি ভাষা নিয়ে এই বইটিতে আলোচনা করেছেন।
তপন চক্রবর্তী
জন্ম ২০ জানুয়ারি। জন্মস্থান চট্টগ্রাম। স্নাতকোত্তর (প্রাণিবিদ্যা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। স্কুল ও কলেজে শিক্ষকতা। বাংলা একাডেমীর স্বেচ্ছাবসরকারী কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় শিক্ষা উপদেষ্টা।
প্রকাশিত গ্রন্থ : অনুবাদ, সম্পাদনা ও সংকলন বাদ দিয়ে ২৭টি। এর মধ্যে আছে শিশু-কিশােরদের জন্য লেখা ১৩টি বই। প্রবন্ধ সংকলন: মানুষের জন্য বিজ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রত্যাশা, দাও ফিরে সে অরণ্য, শতবর্ষে বাঙালির বিজ্ঞানসাধনা, বাংলাদেশের বন ও বনানী, বিলুপ্ত ও বিপন্ন প্রাণী, রবীন্দ্রনাথ : বিজ্ঞানমনস্কতা ও চিকিৎসাবিজ্ঞান। জীবনীগ্রন্থ : বৈজ্ঞানিক জগদীশচন্দ্র, কুদরাত-এ-খুদা ও আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়।
পুরস্কার : ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার (গবেষণা), আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (শিশুতােষ), দুইবার অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার।