মুক্তিযুদ্ধে জোহরাকে হারিয়েছে তানেস। তারপর পেরিয়ে গেছে ৫০ বছরের বেশি। আজও তানেসের বুকপকেটে সব সময় থাকে জোহরার ছবি ও চিঠি। একজন মুক্তিযোদ্ধার জীবনের সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা হয়েছে উপন্যাসটি।
১৯৭১ সাল। যুদ্ধের ডাকে সাড়া না দিয়ে থাকতে পারল না তানেস। শুনে কেঁদে বুক ভাসালেও দেশের কথা ভেবে তাকে আটকে রাখেনি জোহরা। যাওয়ার আগে জোহরাকে তানেস কথা দিয়েছিল দেশ স্বাধীন করে তবেই ফিরবে তার কাছে। জোহরাও কথা দিল অপেক্ষা করবে তার জন্য। দেশ স্বাধীন করে ফিরে এল তানেস। কিন্তু পেল না জোহরাকে। পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে জোহরা। সেই থেকে তানেস জোহরার ছবি আর চিঠি আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছে। এর মধ্যে পেরিয়ে গেছে ৫০ বছরের বেশি সময়। কিন্তু মুহূর্তের জন্য তানেস বুকপকেট থেকে সরিয়ে রাখেনি জোহরার ছবি।
রাহিতুল ইসলাম
রাহিতুল ইসলাম একজন বাংলাদেশি তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিক, লেখক ও নাট্যকার। বর্তমানে দেশের একটি শীর্ষ দৈনিকে সাংবাদিকতা করছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চাও করেন। তবে তাঁর আগ্রহের বিষয় মূলত তথ্যপ্রযুক্তি। সংবাদপত্রে লিখে আর কথাসাহিত্য রচনার মধ্য দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন পাঠকদের এই জগতের জানা-অজানা নানা বিষয়ের সঙ্গে পরিচিত করাতে। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১২। উল্লেখযোগ্য উপন্যাস: ‘কল সেন্টারের অপরাজিতা’, ‘চরের মাস্টার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার’, ‘হ্যালো ডাক্তার আপা’, ‘ভালোবাসার হাট-বাজার’ এবং ‘কেমন আছে ফ্রিল্যান্সার নাদিয়া’। ‘আউটসোর্সিং ও ভালোবাসার গল্প’ বইটি ফিলিপাইন থেকে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘আউটসোর্সিং ও ভালোবাসার গল্প’ বইয়ের জন্য জাতীয় ফ্রিল্যান্সিং অ্যাওয়ার্ড (২০১৯) এবং ‘কল সেন্টারের অপরাজিতা’র জন্য এসবিএসপি সাহিত্য পুরস্কার (২০২১) পেয়েছেন।