গল্পের কথাটা এলেই আমাদের মাথায় আসে কিছুটা ছেলেখেলা, কিছু ভাঙা শব্দ বাক্য দিয়ে গড়া
অপরিণত এক দেয়াল। যা হয়ত শিশুকিশোরদের নিয়মিত পাঠবিরোধী। এ ধারণা মোটেও ঠিক নয়। গল্প শিশুর উপযোগী শব্দ বাক্য ও চিন্তা-চেতনা ও সহমর্মিতা নিয়ে গঠিত ঠিকই, তবে এটা অতটা অপরিণত নয়, যতটা বোধবুদ্ধিহীন, শিশুকে অকর্মণ্য করে তুলতে পারে। এটা এমন পাঠবিরোধীও নয়, যাতে শিশুর মন প্রকৃত শিক্ষাগ্রহণে বেঁকে বসে।
গল্প শিশুর মনে সেই আলোটি জ্বালাতে সক্ষম যা দিয়ে ঘোর অন্ধকারেও সে পথ চলতে সক্ষম। গল্প এমন শিক্ষামাধ্যম যা হয়তো তার প্রায় সমবয়সী আচরণ করে, তবে শিশুমনে তাকে বন্ধুর চেয়েও বড়ো করে, তাকে শিক্ষকের ভূমিকায় রাখে। গল্প থেকে শিশু স্বতঃস্ফূর্তভাবে শেখে, আনন্দ ও আগ্রহ নিয়ে শেখে,কানে শুনে চোখে দেখে এবং মুখে উ”চারণ করে জীবনের পাঠগ্রহণের মতো করে শিশুটি গল্পটি পড়ে। তাই শিশুকে গল্পের প্রতি আর গল্পকে শিশুর উপযোগী করে তোলা আমাদের দায়িত্ব।