ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ডাকে মুক্তিকামী জনতা স্বাধীনতার যুদ্ধে অকাতরে ঝাঁপিয়ি পড়ে। স্বাধীনতার জন্য মুক্তিকামী মানুষ মৃত্যৃকে পায়ে দলেছিল। বঙ্গবন্ধুকে মানুষ কী অভূতপূর্ব ও আকাশচুম্বী সমর্থন দিয়েছিল, তার পরিচয় ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচন। এ নির্বাচনে মানুষ কিন্তু ভাত না খেয়েও ব্যালট বাক্সে নৌকায় ভোট দিয়েছিল। “আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। অনেকের মতো আমারও অহংকার এ কারণে যে, আমার জন্ম পরীধীন দেশে নয়, আমার জন্ম স্বাধীন বাংলাদেশে। আমি প্রতিদিনেই মুক্তিযুদ্ধকে অনুভব করি। ’৭১-এর দামাল তরুণের অপারেশন, পাকিস্তানি হায়েনার ধ্বংসযজ্ঞ, ধর্ষিতার ক্রোধ-সবকিছুই আমার কাছে জীবন্ত হয়ে ওঠে। দেশের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। মুহূর্তেই আমি হয়ে যাই দ্বিধাহীন এক মুক্তিযোদ্ধা। ‘ এ কথাগুলো শুনেছিলাম বিজয় দিবসের এক অনুষ্ঠানে এক টগবগে তরুণের কণ্ঠে, যার জন্ম স্বাধীনতা অর্জনের ১৫ বছর পর। এসব কথা একজন তরুণের কণ্ঠে উচ্চারিত হলেও, এ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধোত্তর কোটি তরুণের সচেতন উপলব্ধির প্রকাশ। স্বাধীনতার ৪০ বছর কিন্তু একেবারে কম নয়। এই দীর্ঘসময়ে বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট, প্ল্যানমাফিক করলে তরুণ প্রজন্মের প্রত্যাশা অনুযায়ী অনেক সুন্দর একটা বাংলাদেশ আমরা পেতাম। বঙ্গবন্ধুকে ওরা কেন হত্যা করেছে? কি অপরাধ ছিল তাঁর? স্বাধীনতা বড় প্রিয় একটি শব্দ। যা মানুষের মনের আকাড়া। পরাধীনতার নাগপাশে জর্জরিত থেকে কে মরতে চায়? একদিন পাকিস্তান কায়েমের জন্য সকলে লড়েছিল। লড়েছিলেন বঙ্গবন্ধুও। কিন্তু পাকিস্তানের জন্ম লাভের পর বাঙালি কি পেলো? না রাজনৈতিক স্বাধীনতা না অর্থনৈতিক মুক্তি। বাঙালির ভাগ্যে কিছুই জুটলো না। জুটলো শোষণ-বঞ্চনা-নির্যাতন। মায়ের ভাষা মুখের ভাষাও পাকিস্তানি শাসকরা বেড়ে নিতে চাইলো। বুকের রক্ত দিয়ে বাঙালি তাঁর মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষা করলো। বাঙালি সংস্কৃতি ধ্বংস করে দেয়ার নানা ষড়যন্ত্র চলতে থাকলো। দেশের সম্পদ পাচার করে বাঙালিকে নিঃস্ব করে দিয়ে ২২টি পরিবার সৃষ্টি করে শোষণ অব্যাহত রাখলো। আর বঙ্গবন্ধু মুজিব শোনালেন অমর বাণী-স্বাধীনতা। দেখালেন মুক্তির পথ।