বলকানের ছোট্ট দেশ মেসিডোনিয়ার পটভূমিতে রচিত এ ভ্রমণবৃত্তান্ত। নানা সংস্কৃতির খণ্ডচিত্রের সমান্তরালে বর্ণাঢ্য সব চরিত্র উপস্থাপিত হয়েছে এ বইয়ে। সেই সঙ্গে তুর্কি হামাম, ক্যাট-ক্যাফে ও কাজমাকচালান পর্বতের উপত্যকায় লেখকের ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা পাঠকের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলবে।
বলকান অঞ্চলের ছোট্ট দেশ মেসিডোনিয়া। দেশটির রাজধানী স্কোপিয়ায় ধর্মীয় সহিষ্ণুতাবিষয়ক সম্মেলনে শরিক হওয়ার অসিলায় লেখককে কিছুদিন বসবাস করতে হয়। মুসলমান, ইহুদি ও খ্রিষ্টান ধর্মযাজকসহ নানা সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে আলাপ হয় সেখানে। অবসরে লেখক ঘুরে বেড়ান নগরীর বাইজেন্টাইন যুগে নির্মিত কেল্লা, তুর্কি জমানার বাজার ও ভারদার নদীপারের প্রমেনাদে। তুর্কি স্থাপত্যকলায় সমৃদ্ধ বিতোলা নগরীতে যাওয়ার পথে বলকান বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-ছাত্রদের সঙ্গেও তাঁর মেলামেশার সুযোগ ঘটে। কামাল আতাতুর্কের স্মৃতিবিজড়িত সামরিক বিদ্যালয় এবং তাঁর প্রেমিকা বলে খ্যাত এলেনি কারিনতের পৈত্রিক নিবাস দেখার সুযোগ হয় লেখকের। দেখেন আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের পিতা রাজা ফিলিপের শাসনামলে নির্মিত পুরাতাত্ত্বিক সাইটও। কাজমাকচালান পর্বতসংলগ্ন উপত্যকার হাইক ও একাধিক হামামের উষ্ণ জলে অবগাহনের অভিজ্ঞতা এ ভ্রমণবৃত্তান্তকে ভিন্নতর ব্যঞ্জনা দিয়েছে।
মঈনুস সুলতান
মঈনুস সুলতান একাধারে কবি ও গল্পকার। ভ্রমণ কাহিনী লিখে খ্যাতি অর্জন করেছেন। মঈনুস সুলতানের জন্ম ১৯৫৬ সালে, সিলেট জেলার ফুলবাড়ী গ্রামে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ম্যাস চুসেটস-এ থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষা বিষয়ে ডক্টরেট করেন। খন্ডকালীন অধ্যাপক ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস এবং স্কুল অব হিউমেন সার্ভিসেস-এর। ইউনিভার্সিটি অব সাউথ আফ্রিকার ভিজিটিং স্কলার ছিলেন। শিক্ষকতা গবেষণা ও কন্সালট্যান্সির কাজে বহুদেশ ভ্রমণ করেছেন।