ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ টুকনের মামার নাম মাসুদ। তিনি নিজেকে ভাবেন মাসুদ রানা। এই গোয়েন্দা মামা লোক খারাপ নন, কিন্তু তার মাথায় বুদ্ধশুদ্ধি তেমন নেই বললেই চলে। বেকারত্ব ঘোঁচাতে তিনি শুরু করেন গোয়েন্দাগিরি। জীবনের প্রথম অভিযানে তিন রওনা দেন কক্সবাজারের পথে।সঙ্গে চলল ভাগ্নে টুকন। মামা-ভাগ্নে যেখানে আপদ নেই সেখানে। কক্সবাজারে প্রথমেই মামার সঙ্গে দেখা হলো সায়মার। সায়মা আসেলে একজন মনোরোগিনী, যার রোগটা হলো সবাইকে সন্দেহ করা। সায়মা সবাইকে সন্দেহ করে অপরাধী বলে। তারই ভুল নির্দেশনায় উত্তেজিত হয়ে মামা অসুরণ করতে লাগলেন একেকজন নিরীহ মানুষ। ঘটতে লাগল একটার পর একটা হাসির কাণ্ড। কিন্তু এরই মধ্যে পাওয়া গেল ভয়স্কর এক চোরাকারবারীকে। কী হলো তারপর?
আনিসুল হক
আনিসুল হক ৪ মার্চ ১৯৬৫ সালে রংপুরের নীলফামারীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রংপুর পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়, রংপুর জিলা স্কুল, রংপুর কারমাইকেল কলেজ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। ছাত্রাবস্থা থেকেই সাহিত্য ও সাংবাদিকতার প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল, এবং তিনি বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে প্রকৌশলী হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দিলেও ১৫ দিনের মধ্যে সাংবাদিকতায় ফিরে আসেন। বর্তমানে তিনি একটি প্রথম শ্রেণির জাতীয় দৈনিকে সহযোগী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত। সাহিত্যে তাঁর অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, সিটি আনন্দ-আলো পুরস্কার, খালেকদাদ চৌধুরী পদক, সুকান্ত পদক, এবং ইউরো সাহিত্য পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননা লাভ করেছেন।