ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ মি. জিরো আর ড. সালেবিন সাদ পরস্পর বন্ধু । দুজনেই খুব ট্যালেন্ট। জিরো মামা এ্যারোনোমিক ইঞ্জিনিয়ার । দক্ষ পাইলটও। জিরো মামা নিজের চেষ্টায় তৈরী করেছেএক বিশেষ ধরনের আকাশ যান। যা জলে , স্থলে এবং আকাশে উড়তে পারে। দুই বন্ধু সেই বিশেষ যানের সাহায্যে চলে গেছেন পৃথিবী ছেড়ে বহুদূরে অজানা এক গ্রহে। পাহাড় আর সমুদ্র ঘেরা সেখানকার ভূপ্রকৃতি। আছে নানা ধরণের প্রাণী্। সেখানে তারা খুজে পাইনি মানুষের অস্তিত্ব তেমনি এক নির্জন গ্রহে গড়ে তুলেছে বিশেষ ল্যাবরেটরী । উদ্দেশ্য এমন কিছু আবিষ্কার করা যা দিয়ে তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র মানুষের জীবন ধারা পাল্টে দেওয়া যায়। রাশিয়, আমেরিকা ও বৃটেনের মতো ক্ষমতাশীল দেশগুলোর দৌরাত্ন বন্ধ করা যায় । নষ্ট করে দেওয়া যায় পারমানবিক রাসায়নিক অস্ত্র ভাণ্ডার । পৃথিবীর বাইরের অজানা এক গ্রহে দুই বিজ্ঞানীর এই নি:স্বার্থ গবেষণার কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন জিরো মামার দুই ভাই মেজর মাহির আলম আর ক্যামেরাম্যান জহির আলম এবং তাদের স্ত্রীরা । আর আছে দু:সাহসী এক কিশোর বিপু। যার বুদ্ধিদীপ্ত চেহারার মাঝে রয়েছে অপূর্ব ধীশক্তি। তারপর হঠাৎ একদিন সেখানে উপস্থিত হয়েছে আরেক কিশোর কন্যা আয়েশা। পেশায় সে একজন ডাক্তার। আয়েশার পেশাগত দক্ষতা আর তাদের চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি দেখে অবাক হয়েছে পৃথিবীর দুই বিজ্ঞানী। কিন্তু কে এই আয়েশা? কোন গ্রহ থেকে সে এসেছে ? এই সব নিয়েই শুরু হয়েছে রহস্য ,থ্রিল আর সাসপেনস -এ ভরা এক ঠাস বুনুনি কাহিনী । যা শুরু করলে শেষ না হওয়া পর্যন্ত ছাড়তে মন চাইবে না।